ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট কিংবা টি শার্ট, রাজধানীর ঈদবাজারের পুরোটাই দখলে ভারত, চীন আর থাইল্যান্ডের।
ডিজাইন আর ফেব্রিকসের মান দেশীয় পোশাকের তুলনায় ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের নজর কাড়লেও এসব পণ্য ক্রয়ে চড়া দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। যদিও, আমদানি করা পোশাকের রাজস্ব আদায়ে সরকারী সংস্থাগুলোর অনিয়মের কারণে পণ্য খালাসে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ আমদানিকারকদের।
বেশ ক'বছর ধরেই দেশে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটার ধরণ বদলেছে অনেকটাই। পছন্দের পোশাক প্রসাধনী কিনতে এখন আর রমজানের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন না অনেকেই। ফলাফল, রমজান শুরুর আগেই নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাকে ভরে ওঠে শপিং মল আর বিপণী বিতান।
একজন বিক্রেতা বলেন, একটা মাল তিনবার একজামিন করছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা, কোন কোন আইটেমে এত ট্যাক্স দিতে হয় যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। কাস্টমারের চাপও কম দেখা যাচ্ছে।
চলতি বছর রাজধানীর শপিং মলগুলোতে ঈদ উপলক্ষ্যে আসা ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট আর টি শার্টের ৬০ শতাংশই চীনের দখলে, বাকীটা ভারত আর থাইল্যান্ডের। কাপড়ের স্থায়িত্ব আর ডিজাইনের নতুনত্বের কারণে এসব পোশাকের দিকেই ঝোঁক বেশি ক্রেতাদের, যদিও দাম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে সবারই।
তবে, ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজস্ব কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে ক্রমেই বাড়ছে আমদানি ব্যয়, ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকছে না পোশাকের বাজারদর।
বাজারে চলতি বছর ঈদ বাজারে বাড়তি চাহিদা মেটাতে অধিকাংশ পণ্য আবার নতুন করে আমদানি করা লাগতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন