নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে চেইন সুপারশপ মীনাবাজারকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কসমেটিকস, আচার ও অন্যান্য পণ্যের গায়ে মূল্য তালিকা এবং উৎপাদনের তারিখ লেখা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডি ১৫ নম্বরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির আউলেটে এই অভিযান চালানো হয়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে তিনটা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে আরও চারটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কাপড়ের ব্র্যান্ড শপ ইনফিনিটিকে তিন লাখ, কোল্ড স্ট্রোনকে দুই লাখ, ক্লেও পেটা বিউটি সেলুনকে এক লাখ এবং নন্দনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন ও রজবী নাহার রজনী। সহযোগিতায় ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান।
অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অভিযানে ধানমন্ডির মীনাবাজারের আউটলেটে গিয়ে দেখা যায় সেখানে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন থেকে গরুর ৪৫০ মাংস ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও তারা ৪৯৯ টাকায় বিক্রি করছিল। এছাড়া মোড়ক জাত দেশি বিদেশি বডি লোশন, কসমেটিকস, মসলা ও আচারের গায়ে কোনো উৎপাদনের তারিখ ছিল না। তাই মীনাবাজারকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, কোল্ড স্ট্রোন নামে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুরাতন ইফতার সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানে ক্লেও পেটা বিউটি সেলুন গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিভিন্ন লোশন ও কসমেটিকস মেয়াদোত্তীর্ণ এবং সেগুলো বিদেশ থেকে আনা হলেও আমদানিরকারকের সিল বা ঠিকানা লেখা ছিল না। অনেক সময় এসব পণ্য লোকাল ও খুচরা বাজার থেকে কিনে বিদেশি বলে বিক্রি করা হয়। ল্যাগেজের মাধ্যমে আনার কসমেটিকস ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রির দায়ে কাপড়ের ব্র্যান্ডশপ ইনফিনিটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি তাদের বেশ কিছু পণ্যের বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। এছাড়া বডি স্ট্রে, লোশনসহ বেশ কিছু কসমেটিস পণ্য সরকারি ভ্যাট-ট্রাক্স ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে এনে বিক্রি করত এবং লোকাল কিছু পণ্যও তার মিশিয়ে বিদেশি বলে বিক্রি করা হচ্ছিল।
অভিযানিক দল শেষে নন্দন শপে গিয়ে আমদানি করা পণ্যের গায়ে মেয়াদ ও আমদানিকারকের নাম লেখা না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগে সুপারশপ মীনাবাজারকে আরও কয়েক দফা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কাপড়ের ব্র্যান্ড শপ ইনফিনিটিকেও সম্প্রতি এক দফা জরিমানা করা হয়।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন