পরিচালক সমিতির উকিল নোটিশের খবরে বেশ চটেছেন শাকিব খান। এ নিয়ে শুক্রবার তিনি শিল্পী সমিতিতে এক জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভার আগে নির্বাচন স্থগিতের হুমকি থেকে আপাতত সরে এসেছেন, তবে তা শর্তসাপেক্ষে।
শাকিব বলছিলেন, “আমি প্রথম আলোর সাক্ষাতকারে খারাপ কিছু তো বলিনি। এ ধরনের কথা তো আমার আগে আরও অনেকে বলছে। কই তখন তো খোকন সাহেব ( বদিউল আলম খোকন) কিছু বলেননি? আমার সাথে পরিচালক সমিতির সভাপতি গুলজার ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যা হয়েছে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
শাকিব আরো বলেন, “উনারা শিল্পীদের উকিল নোটিশ দিতে পারেন না। তাই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে সমঝোতা হলে নির্বাচন হবে, না হলে অন্য সিদ্ধান্ত নেব আমরা।”
কলকাতার জিত ও দেবের সামনে তার সম্মানহানি হয়েছে বললেন শাকিব। তিনি বলেন, “তারা এসে দেখে গেছে বাংলাদেশের সুপারস্টারের বিচার হচ্ছে। আর এটা নিয়ে কলকাতায় তারা হাসাহাসি করছে। এখন আমি যৌথ প্রযোজনার ছবি করছি, কলকাতার ছবি করছি তাই তারা আমার পিছনে লেগেছে। অথচ আমার সত্তার সাথে হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা মুক্তি পাচ্ছে। এ নিয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করেননি।”
শুক্রবার বিকেলে ৪০-৫০টা বাইক এফডিসিতে হুট করে ঢুকে মহড়া দিলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ নিয়ে শাকিব বলেন, “এখন সবাই মাসল পাওয়ার দেখাচ্ছে। এটা তো রাজনীতির মাঠ না ভাই। আমার সাথে নির্বাচনের পর মিজু ভাই, আহমেদ শরীফ ভাই ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু কারা শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে রাজনীতির মাঠ মনে করছে আপনারা খুঁজে বের করেন।”
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে শাকিবকে উকিল নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
নির্মাতাদের অভিযোগ, শাকিব বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পী ও পরিচালকদের হেয় করে কথা বলেছেন।
ওই সাক্ষাৎকারে শাকিব খান বলেন, ‘যেহেতু এখন বেশি সিনেমা হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকা দেখবেন, অনেক পরিচালক। তারা এফডিসিতে আড্ডাও মারছেন। কিন্তু কাজ করছেন কতজন? প্রযোজকদের ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তাই। অনেক শিল্পী তো নিবন্ধিত আছেন, কাজ করছেন কতজন? আমার মনে হয় এই দেশে এক নম্বর হওয়াটা একটা যন্ত্রণার ব্যাপার। একদিন বা দুইদিনের জন্য হলে ঠিক আছে, কিন্তু দীর্ঘদিন প্রথম স্থান ধরে রাখলে তখন শত্রুর অভাব হয় না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন