একজন বিয়ে করে স্বামী সন্তানের সঙ্গে সুখে জীবন কাটাচ্ছেন। আর একজন ৫০ পেরিয়েও দেশের অন্যতম এলিজিবল ব্যাচেলর (যোগ্য পাত্র)। তবে তাদের পুরনো ভালোবাসার গল্প অনুগামীদের কাছে একেবারে টাটকা। এখনও ভক্তরা চান, রুপালি পর্দাতে, তাদের যেন আবার একসঙ্গে দেখা যায়। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে তাদের রোমান্স এখনও সিনেমা প্রেমীদের স্মৃতিকাতর করে তোলে। এখনও এই জুটির বিচ্ছেদের আসল কাহিনী অনেকেরই অজানা। ঠিক ধরেছেন, কথা হচ্ছে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং সালমান খানের।
ঐশ্বরিয়া-সালমানের বিচ্ছেদের অধ্যায় বলিউডে আজও যেন রহস্য হয়েই রয়ে রয়েছে। সেই সময় শিরোনামে অবশ্য তাদের বিচ্ছেদের অনেক কারণই উঠে এসেছিল। কখনও শোনা গিয়েছিল, সালমানের আচরণ আর পছন্দ হচ্ছিল না সাবেক বিশ্ব সুন্দরীর। প্রতিটি কাজে ঐশ্বরিয়ার ওপর সালমানের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন নায়িকা।
আবার শোনা যায়, প্রেমকাহিনীতে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিবেক ওবেরয়ের প্রবেশই ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু, কোনও বিষয়ই বিস্তারিত জানা যায়নি। এবার আরও কিছু তথ্য সামনে এলো।
বাবার অমতেই সালমানের সঙ্গে সম্পর্কে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু, শেষমেশ তা আর টেকেনি। আর তাদের ভাঙনের অন্যতম কারণ ঐশ্বরিয়ার বাবা।
সালমান খান একবার স্বীকার করেছিলেন, ঐশ্বরিয়ার বাবার সঙ্গে তিনি বেশ খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঐশ্বরিয়ার বাবার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছিলাম তা তার একেবারেই পছন্দ হয়নি। স্বাভাবিকভাবে আমার বাবার সঙ্গেও এমন ব্যবহার আমি মেনে নিতাম না। তাই ঐশ্বরিয়ার বাবার আমাকে অপছন্দ করার যথেষ্ট যুক্তি ছিল। আমি সে বিষয়ে কোনও অভিযোগও করছি না।’
সেই বিষয়টি একেবারেই সহ্য করতে পারেননি সে সময়ের এক নম্বর নায়িকা। আর শুধু বাবাকেই নয়, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গেও একই রকম অপমানজনক আচরণ করতে শুরু করেছিলেন। যে বিষয়টি দিনের পর দিন মেনে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল তার পক্ষে। আর তারপর একটু একটু করে সালমানের থেকে দূরে সরতে থাকেন তিনি।
ভারতের সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, ঐশ্বরিয়া জানিয়েছিলেন, ‘সালমানের খারাপ সময়েও ওর পাশে ছিলাম। কিন্তু, মদ্যপ অবস্থায় ওর নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহার ক্রমেই বাড়তে থাকে। ভালবাসা দিয়েও উল্টো দিক থেকে ছিটেফোঁটা ভালবাসাও পেতাম না। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমায় অপমানিত হতে হয়েছে বার বার। নিজের সম্মান রক্ষা করতেই শেষমেশ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমি নিশ্চিত, আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও এমনটাই করতেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন