হতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক, হয়ে গেলেন বিশ্বসুন্দরী। বলা হচ্ছে, বিশ্বসুন্দরী মানুশী চিল্লারের কথা। বিশ্বের ১০৮টি দেশের সুন্দরীদের হারিয়ে এ বছরের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাবটি জিতে নিয়েছেন তিনি। পঞ্চম ভারতীয় নারী হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ এই খেতাব জিতলেন মানুশী। এর আগে রিটা ফারিহা, ঐশ্বরিয়া রাই, লিসা হেডেন, যুক্তামুখী ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এই সম্মানে ভূষিত হন।
যাঁরা গ্ল্যামার বিশ্বের খবরাখবর রাখেন, তাঁরা মানুশী চিল্লারকে অবশ্যই চেনেন। এ বছরের শুরুতে মিস ইন্ডিয়ার মুকুট উঠেছিল এই সুন্দরীর মাথায়। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ৩০ জন সুন্দরী ছিলেন সেরাদের তালিকায়। অভিনেতা অর্জুন রামপাল, ইলিয়ানা ডি’ ক্রুজ, বিপাশা বসু, অভিষেক কাপুর, বিদ্যুৎ জামাল ও বিখ্যাত ফাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা সেরা সুন্দরী হিসেবে বেছে নেন মানুশী চিল্লারকে। মিস ইন্ডিয়া হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয় মানুশীর।
১৯৯৭ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন মানুশী। বাবা মিত্র বসু চিল্লার ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার বিজ্ঞানী। মা নিলন চিল্লার ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সের নিউরোকেমিস্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নয়াদিল্লির সেন্ট থমাস স্কুলে লেখাপড়া শেষ করা মানুশী এখন ভগত ফুল সিং সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছেন। কার্ডিয়াক সার্জন হতে চাওয়া মানুশী ২০১৬ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। বাকিটুকু তো এখন সবারই জানা।
ওহ! বলে রাখা ভালো, মানুশী একজন ভালো নৃত্যশিল্পীও বটে। কুচিপুড়ি (ধ্রুপদী নাচ। অন্ধ্রপ্রদেশের কুচিপুড়ি গ্রামের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে) নৃত্যকলা বেশ ভালোই জানা এই সুন্দরীর। ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতেও বেশ কিছুদিন লেখাপড়া করেছেন তিনি। কেবল তাই নয়, খেলাধুলাতেও সমান আগ্রহ মানুশীর। স্কুবা ডাইভিং, বাংগি জাম্পিং (পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়া), স্নোরকেলিংয়েও (রঙিন পানির ডুবুরি) দারুণ পারদর্শী মানুশী চিল্লার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন