আগামী ৮ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত সিনেমা ‘চল পালাই’। ছবিটি নিয়ে তিনি বেশ আশাবাদী। কিন্তু কেন? সেসব নিয়েই কথা বললেন পরিবর্তনডট কমের সঙ্গে।
‘পথের প্যাঁচালী’ থেকে ‘চল পালাই’- দীর্ঘ জার্নি। কাজের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে বলুন?
‘পথের প্যাঁচালি’ যখন শুরু করি, বয়সটা কম ছিল। তখন একটা উত্তেজনা কাজ করতো- ভালো কিছু করে দেখাতে হবে। কিংবা আদৌ ভালো কিছু করতে পারব কিনা। সেই জায়গা থেকে সামান্য ভালো করতে পেরেছি। আমার আগের সিনেমাগুলো মানুষ পছন্দ করেছে। সবার ভালোবাসা পেয়ে এতটা পথ আসতে পেরেছি। পথের প্যাঁচালির দেবাশীষ আর ‘চল পালাই’- এর দেবাশীষে একটি বড় পার্থক্য, এখনকার দেবাশীষ অনেক ম্যাচিউরড।
‘চল পালাই’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
একটি ছবি যখন কেউ বানায়, সে যদি খারাপ ছবিও বানায়, তার কাছে ওটা সেরা ছবি। তার প্রত্যাশাও কিন্তু কম থাকে না। আমি আগে যে তিনটি ছবি বানিয়েছি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আর ভালোবাসা যত পাবে, লোভও বেড়ে যায়। আমারও লোভ বেড়েছে। ভালোবাসা পাওয়ার লোভ। ‘চল পালাই’ নিয়ে তাই আমার প্রত্যাশাও বড়।
নতুন আর কী কাজ করছেন?
‘চল পালাই’-এর পর আরেকটি সিনেমা আসবে। এখনই আমি নামটা বলতে পারব না বা বলতে চাইছি না, আরেকটু ম্যাচুরিটি পাক নামটা। আরও একটা ছবি করছি ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’।
আপনি উপস্থাপনা দিয়ে শুরু করেছিলেন, এখন নতুন কিছু করছেন কি?
আমাদের একটা সংগঠন আছে, উপস্থাপকদের নিয়ে- ‘প্রেজেন্টারস প্লাটফরম অব বাংলাদেশ’। এখানে আমি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি। কাজের অফার পেলেই গ্রহণ করা যায় না। কাজ পছন্দ না হলে করতে পারি না। এখন হাতে কিছু উপস্থাপনার কাজ আছে। করছি না। আগামী বছরে নতুন সিনেমা ও অনুষ্ঠান করব, বড় আকারেই। উপস্থাপনা তো অনেকদিন করলাম। সময় নিচ্ছি।
আপনার বাবা দিলীপ বিশ্বাস। তিনি সম্পর্ক ও কাজে আপনাকে ঘিরে রাখেন; তাকে নিয়ে কিছু বলুন?
বাবার ফিলিংসটা সব সন্তানের জন্য এক। একটু কম বা বেশি। কিন্তু, কাজের ক্ষেত্রে তিনি আমার ওস্তাদ। শিক্ষাগুরু। আমার বন্ধুও। কাজের প্রেরণা। আমার সমস্ত কাজে তিনি উপস্থিত থাকেন, প্রচ্ছন্নভাবে। বাবা নির্মাতা হিসেবে কেমন ছিলেন, তা সবাই জানেন। আমিও জানি। আমার কাছে তিনি আইডল।
একজন দেবাশীষ বিশ্বাসকে মানুষ আলাদাভাবে চেনে, জানে ও পছন্দ করে; এটা ভেবে কী অনুভূতি হয়?
আমার মা বলতেন, যত তুমি বড় হবা তত তুমি মাটির দিকে তাকাবা। মানুষ তোমাকে বড় বলবে। সেটা আমি মনে রাখি। হাতে গোনা অল্প কিছু মানুষকে মানুষ আলাদাভাবে চেনে এবং ভালোবাসে। আমি সেভাবে মানুষের ভালোবাসাটা পেয়েছি। আমাকে মানুষ চিনছেন-জানছেন সেই অল্প কিছু মানুষের ভেতরে- এটা একটা আশীর্বাদ। আমি ভাগ্যবান। তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। এটা আমি এনজয় করি। ভালোবাসি। সারাজীবন আমি এটা পেতে চাই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন