বিমানে শ্লীলতাহানির ঘটনায় জায়রা ওয়াসিমের পাশে দাঁড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বিমানে এক সহযাত্রী তাকে শ্লীলতাহানি করেছে অভিযোগ করে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন জায়রা। এজন্য বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ভারতের এবিপি আনন্দ পত্রিকা।
দঙ্গল অভিনেত্রী বিমানের ঘটনার কথা ভিডিওতে জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। জায়রা ভিডিওতে জানিয়েছিলেন, এক পুরুষ যাত্রী তার কাঁধে খোঁচা দিচ্ছিলেন এবং ঘাড়ে ও পিঠে পা ওঠানামা করছিলেন।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাহকদের একাংশ জায়রার ওই অভিযোগরে প্রচার পাওয়ার কৌশল বলে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ তার অভিযোগ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। আবার অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করার পরিবর্তে জায়রার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন।
এরই মধ্যে একটি গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে জায়রার হয়ে কথা বলেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, ‘একজন তরুণী বিমানে তার শ্লীলতাহানির কথা বলেছেন। আর এই ঘটনায় যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা খুবই হতাশাজনক। আবার কোনও কোনও প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, ওই ব্যক্তির কোনও দোষই ছিল না। তিনি শুধু জায়রার সিটের হাত রাখার জায়গায় পা রেখেছিলেন।’
কঙ্গনা বলেন, ‘কেউ যদি আমার হাত রাখার জায়গায় পা রাখেন, তাহলে তা যৌন বা আবেগসংক্রান্ত শ্লীলতাহানি ঘটেছিল কিনা, তার ব্যাখ্যা তো আমিই করব। সহযাত্রীরা কোনওভাবেই বলতে পারেন না যে, নিরীহ পা বিশ্রাম নিচ্ছিল মাত্র।’
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘আসলে এটাই হয়। একজন মেয়ে এগিয়ে এসে বলেছে যে, তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর অবধারিতভাবেই বলা হবে, তুমি মেয়ে, এসব বাজে জিনিসের সঙ্গে জড়িও না।’
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘বিমানে ঠিক কী ধরনের নিগ্রহের মুখোমুখি জায়রাকে হতে হয়েছিল, তা বলার জায়গায় তিনি নেই। কিন্তু কেউ যদি অন্য যাত্রীর আসনের হাত রাখার জায়গায় পা রাখেন, তাহলে তা একেবারেই ভুল।’ তাই জায়রার সমালোচনা কেন করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কঙ্গনা।
তিনি বলেন,‘এটা এমন একটা পরিবেশ, যেটা আতঙ্কের। আর এই পরিবেশে মুখ খোলার সাহস কতজনের হবে?’
একইসঙ্গে কঙ্গনা জানান, তার সঙ্গে এমন হলে তিনি ওই ব্যক্তির পা ভেঙে দিতেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন