বাবাকে ছাড়া প্রথম জন্মদিন, ভাবতেই চোখ ভিজে যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই ফজর নামাজ পড়ে বাবার কবর জিয়ারত করে দিন শুরু করি। এখন পরিবারের সবাই মিলে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মজনু চাচার বাড়ি এসেছি। সারাদিন এখানেই কাটাবো।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজকে কথাগুলো বলেন নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে ও চিত্রনায়ক খালিদ হোসেন সম্রাট।
শনিবার তার ৩৮তম জন্মদিন। অন্যবারের তুলনায় সম্রাটের এবারের জন্মদিনটি একেবারেই আলাদা। তার বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাক গত বছর ২১ আগস্ট পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। বাবার মৃত্যুর পর সম্রাটের এটি প্রথম জন্মদিন।
সম্রাটের কথায়, বাবা জীবিত অবস্থায় আমার জন্মদিনে বাসায় উৎসব লেগে যেতো। টানা তিন-চারদিন ধরে বাসায় অতিথিদের আসা-যাওয়া থাকতো। তিনবেলা ভরপুর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন রাখা হতো। মনে পড়ে একবার আমার জন্মদিনে বাবা দুই হাজার মানুষ দাওয়াত করে খাইয়েছিলেন। এখন বাবা নেই, তাই তেমন কোনো আয়োজনও নেই।
১৯৮০ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকার মেহেরুন্নেছা ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করেন সম্রাট। তার জন্মের দিনটি ঘিরে রয়েছে মজার ঘটনা। সম্রাটের ভাষ্য, সেদিন বাবা ‘আনারকলি’ ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমার পৃথিবীতে আসার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। কেউ একজন বাবাকে বলেন, আমাকে মধু খাওয়াতে। আর সেটা শুনে বাবা মধুর সন্ধানে হুলুস্থূল কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। অনেক রাত হওয়ায় বাইরে মধু পাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো না। তাই হাসপাতালের কেবিনে কেবিনে হন্যে হয়ে মধু খুঁজতে গিয়ে সবাইকে বিরক্ত করতে শুরু করেন। পুরো হাসপাতাল মাথায় তুলে ফেলেন। তখন আলামগীর (চিত্রনায়ক আলমগীর) চাচা ও ডাক্তাররা মিলে তাকে ঠাণ্ডা করেন।
‘আমি বাঁচতে চাই’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালে বড় পর্দায় সম্রাটের অভিষেক হয়। রাজ্জাকের ইচ্ছেতেই তার চলচ্চিত্রে আসা। এখন পর্যন্ত সম্রাট ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘শুটার’ চলচ্চিত্রে শেষবার তাকে পর্দায় দেখা যায়। সম্রাট ২০০৬ সালে সাবিহা হোসাইনকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে রয়েছে দুই কন্যা সন্তান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন