পুরো নাম প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। রাজধানীর স্টামফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। আগামী বছরই তার মেট্রিক পরীক্ষা। আপাতত পড়ালেখার বাইরে ভিন্ন কোনো চিন্তা মনের মধ্যে নেই। পরীক্ষা শেষ করেই দীঘি বড়পর্দার প্রস্তুতি হিসেবে শুরু করবে নাচের তালিম আর শরীরচর্চা। এক বছর নিজেকে প্রস্তুত করে আবারও রঙিন জগতে রং ছড়াতে চায় দীঘি। দীঘির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার রক্তে অভিনয় খেলা করে, রক্তের সঙ্গেই মিশে রয়েছে সিনেমা। আগামীর লক্ষ্য যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সিনেমাকে বেছে নেব আমি।’
দীঘি’র বাবা সুব্রত এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক, এখনও তিনি অভিনয়ে ব্যস্ত। আর মা মরহুমা দোয়েল ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা চিত্রনায়িকা। দুইজন সফল নায়ক আর নায়িকার ঔরসজাত একমাত্র সন্তান, তার চিন্তা ভাবনায় তো থাকবে অভিনয়-এটাই স্বাভাবিক।
দীঘির মা দোয়েল মারা যান ২০১১ সালে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর দোয়েলের মৃত্যুবার্ষিকী। দোয়েল যখন ইহলোক ত্যাগ করেন তখন দীঘি ক্লাস টুতে পড়ে। মায়ের প্রসঙ্গ আসতেই দীঘির চেহারায় ভেসে ওঠে করুণ আর উদাসীন বহির্প্রকাশ। তারপর দীঘি বলেন, মা তো মা-ই। যার মা নেই, কেবল সে-ই জানে সে কি হারিয়েছে। আসলে কিছু কিছু বিষয় থাকে যা ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো সম্ভব নয়। মা চলে গেছেন আমার অনেক ছোট বয়সে। তারপর থেকে আমার কাছে মাও বাবা আর বাবাও বাবা। বাবা ছাড়া আমার এক মুহূর্তও চলে না।
দীঘি’র বাবা সুব্রত বলেন, ‘সিনেমায় ফেরা নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীঘি যেহেতু মত দিয়েছে সিনেমা করবে। আমি সেভাবেই তাকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তবে আমি চাই ওর শুরুটা যেন ভিন্ন ধরনের হয়। ছবির গল্প, চরিত্র, বাজেট, পরিচালক সব ভেবেই প্রথম ছবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত চাওয়া হলো দীঘির প্রথম ছবিটি যেন চমৎকার একটি রোমান্টিক ছবি হয়’।
উল্লেখ্য, ‘বাবা জানো…আমাদের একটি ময়না পাখি আছে না…সে না আজ কথা বলেছে, কিন্তু মা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না’- একটি মুঠোফোন কোম্পানির ব্যাপক জনপ্রিয় এই বিজ্ঞাপনচিত্রের কথা আজও মনে গেঁথে আছে সবারই। একটিমাত্র বিজ্ঞাপনচিত্রের উপস্থিতিতে দেশসেরা তারকার খাতায় নাম লিখিয়ে নেয় সে সময়ের ক্ষুদে মডেল দীঘি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন