প্রতিনিয়তই আমাদের জীবনযাত্রায় ডিজিটাল সেবার সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ছে। তবে এরসাথে ডিজিটাল সেবা নিয়ে ঝুঁকিও বাড়ছে। ডিজিটাল সেবার ঝুঁকি বিষয়ে ব্যাপক আলোচনার কারণে অনলাইন হয়রানি কিছুটা কমেছে। তবে হয়রানির শিকার হওয়াদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবার ও বন্ধুদের মাধ্যমেই অনলাইন হয়রানির ঘটনা বেশি ঘটছে।
কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্করা অনলাইনে কী ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হন এবং অনলাইনে তাদের সম্পৃক্ততা ব্যক্তিগত জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা জানতে মাইক্রোসফট একটি জরিপ করেছে। মাইক্রোসফট পরিচালিত ‘সিভিলিটি, সেফটি অ্যান্ড ইন্টারাকশনস অনলাইন-২০১৭’ শীর্ষক ঐ জরিপ প্রতিবেদনে অনলাইনে হয়রানি নিয়ে অনেক আশ্চর্যজনক তথ্য উঠে এসেছে।
মাইক্রোসফট পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়াদের প্রতি তিনজনের মধ্যে প্রায় দু’জন বা ৬১ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, অনলাইনে হয়রানিকারীর ব্যাপারে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এক-তৃতীয়াংশের বেশি বা ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা ব্যক্তিগতভাবে হয়রানিকারীকে চেনেন।
১৭ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, হয়রানিকারীরা তাদের বন্ধু কিংবা পরিবারেরই সদস্য। পাঁচজনের মধ্যে একজন বা ১৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, হয়রানিকারী তাদের পূর্ব পরিচিত ছিল। এক-চতুর্থাংশ জানিয়েছেন, হয়রানিকারীকে তারা অনলাইনের মাধ্যমেই চিনতেন।
৩৭ শতাংশ জানিয়েছেন, অনলাইনে তাদের ঝুঁকি সম্পূর্ণভাবে আগন্তুকের কাছ থেকে এসেছে। আপনজন বা পরিবারের সদস্যরা অনলাইন হয়রানির ক্ষেত্রে দায়ী বলে জানিয়েছেন হয়রানির শিকার ৪১ শতাংশ উত্তরদাতা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন