বয়স তার ১০, কিন্তু গলার কাজ আর গায়কি ভঙ্গী মনে করিয়ে দেবে প্রখ্যাত ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে। এরই মধ্যে নিজের নামের বদলে প্রখ্যাত এই শিল্পীর নামেই তাকে ডাকা হচ্ছে ফেসবুকে।
শিশু রাফসানের কণ্ঠে প্রখ্যাত ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো/ অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো/ দেখো না কেউ হাসি শেষে নীরবতা’র ভিডিও গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
আইয়ুব বাচ্চু এই গানটি বাজারে ছাড়ার পরপর তুমুল জনপ্রিয় হয়। তেমনি রাফসানের গানটিও হৃদয় ছুঁয়েছে শ্রোতাদের। তাকে কেউ কেউ ‘আইয়ুর বাচ্চু জুনিয়র’ বলেও ডাকছে।
ফেসবুকে ছেলেটির গান দেখেছেন আইয়ুব বাচ্চু স্বয়ং। মুগ্ধও হয়েছেন। শিশুটির খোঁজ করে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও ঠিক করেছেন এই ব্যান্ড তারকা। সামনাসামনি ছেলেটির কথা শুনতে চান তিনি।
আইয়ুব বাচ্চু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ওর গায়কি, কণ্ঠস্বর; যা খুবই হৃদয়স্পর্শী। খুব ভালো করেছে। নেত্রকোণার শহরের ওর বাড়ি বলে জানতে পেরেছি।
শিশুটির জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘ওর জন্য দোয়া করা ছাড়া তো আর কিছু রকার নেই। কারণ দেশে তো অডিও ইন্ডাস্ট্রি বলে কিছু নেই। আমি কী করব। কিন্তু কেউ যদি এগিয়ে আসে অবশ্যই আমি সাপোর্ট দেব।’
শিশু রাফসানের কণ্ঠে গানটি রেকর্ড করা হয়েছে ঘরোয়া পরিবেশে। হাজার হাজার ভিউ আর শেয়ারের বদৌলতে রাফসান গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমের বদৌলতে রীতিমতো তারকা হয়ে গেছে।
এই বয়সেই একটি গানের দল তৈরি করেছেন রাফসানুল ইসলাম। নাম দিয়েছেন ‘ধোঁয়া’ । ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে আছেন কার্জন রায়। গানটির ভিডিও ধারণ করেন মোরশেদ অমি। ‘ধোঁয়া’ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ এপ্রিল ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’ গানটি প্রকাশ করা হয়।
গানের ভিডিও দৃশ্যে দেখা যায়, দুই জন বাজাচ্ছেন গিটার, একজন পারকাশন, একজন বাঁশি। চার মিউজিশিয়ানের দলে মূল ভোকাল একজন রাফসান।
আর এই ভিডিওর নিচে শত শত কমেন্ট পড়েছে। ছেলেদের জন্য শুভ কামনা করেছেন সবাই। এই প্রতিভাবে বিরল আখ্যা দিয়ে তার বিকাশের জন্য সুযোগ করে দেয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন