পয়লা বৈশাখে বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল শাকিব খান অভিনীত ‘চালবাজ’ ছবিটির। কিন্তু বহু জটিলতায় সেটি সম্ভব হয়নি। অবশেষে ছবিটি মুক্তির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সাফটা চুক্তির আওতায় ২৭ এপ্রিল দেশের প্রায় ১০০ সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাবে। এতে শাকিবের বিপরীতে আছেন ভারতীয় বাংলা ছবির নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী। পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখার্জি। মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২৪ এপ্রিল রাতে এফডিসিতে প্রিয়.কমের সঙ্গে কথা হয় শাকিবের।
প্রিয়.কম: আপনার ‘চালবাজ’ ছবিটি নিয়ে বহু চালবাজি হয়েছে। সব বাধা পেরিয়ে ছবিটি ২৭ এপ্রিল মুক্তি পেতে যাচ্ছে। পুরো বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
শাকিব খান: ভালো সিনেমা কিংবা বড় বাজেটের সিনেমা, যেকোনো ফেস্টিভ্যালে রিলিজ দেওয়া একান্ত দরকার। সে সময় দর্শক সমাগম অনেক বেশি থাকে। পহেলা বৈশাখে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে যেভাবে সবাই লিখেছে, তারা ‘চালবাজ’দেখতে চায়। অনেকে এমনও লিখেছে, ‘তাদের পহেলা বৈশাখের আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল।’ বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে কী হয়, বড় কোনো ফেস্টিভ্যালকে সামনে রেখে তারা সিনেমা মুক্তি দেয়। দর্শকদের মধ্যেও এক ধরনের সিনেমা দেখার প্র্যাকটিস হয়। কিন্তু আমাদের এখানে ছবি মুক্তি পাওয়াকে কেন্দ্র করে যেসব ব্যাপার ঘটে, সেগুলো আসলেই দুঃখজনক।
প্রিয়.কম: ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, শাকিবের বিরোধীপক্ষ নাকি কোনোভাবেই চায়নি, এই বৈশাখে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পাক। তবে কিছুটা দেরিতে হলেও ছবিটি মুক্তি পেল। এ বিষয়ে কী বলবেন?
শাকিব খান: বিষয়টা আসলে কী বলব, উপরে যদি থুতু ছিটানো হয়, তাহলে তো নিজের গায়ে পড়ে। আমি কার বিরুদ্ধেই বা বলতে যাব? আমার মনে হয়, যারা এমনটা করেছে, তাদের ইন্ডাস্ট্রির বিষয়গুলো বিবেচনা করে কাজ করা উচিত ছিল। ‘চালবাজ’ পহেলা বৈশাখে মুক্তি পাবে না, সমস্যা নাই। তার কিছুদিন পরে মুক্তি পাক। তাতেও কিছু যায় আসে না। মাঝে যে নোংরামিগুলো-ছবিটা এক মাসেও নাকি মুক্তি দেওয়া যাবে না, আর কত কী! আমাদের এখানকার বাজে মানসিকতার কিছু লোক বিষয়টা ওইভাবেই ভাবে। একটা ভালো সিনেমা রিলিজ করতে হলে যুদ্ধ করতে হয়। পেশী শক্তি দেখাতে হয়।
প্রিয়.কম: আপনি তো প্রায় দুই দশকের কাছাকাছি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। এমন অবস্থা কী আগে কখনো দেখেছেন?
শাকিব খান: আমি আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে ইন্ডাস্ট্রির এমন বাজে অবস্থা কখনো দেখিনি। অনেক উত্থান-পতন গেছে, তারপরও না। এদের উদ্দেশ্য কিংবা আদর্শ যে কী, আমি নিজেও বুঝি না। কিছু অর্কমণ্যের ঢেঁকি আছে, যারা পারলে শাকিব খানকে মেরেই ফেলে, যদি ক্ষমতায় কুলায় আরকি। একটা দেশে একজন স্টার ক্রিয়েট হওয়া কিন্তু চারটিখানি কথা নয়। হাজার হাজার আসে, কিন্তু তৈরি হয় একজন। আমার ছবি মুক্তি পাবে না, ব্লক দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে আমাকে মাথা ঘামাতে হবে, ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে, তাহলে আমি মনোযোগ দিয়ে কাজটা করব কখন? যেখানে দেশের মানুষ ভালো সিনেমা দেখতে চাইছে, তারপরও কেন তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে?
প্রিয়.কম: বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার আগে ‘চালবাজ’ কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে। তারপরও ছবিটি নিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে?
শাকিব খান: সেটা অবশ্য ঠিক। তবে ওই সময়টাতে ছবিটা বাংলাদেশে মুক্তি পেলে ভালো হতো। আমি তো আমার জায়গা থেকে চাইব, একই সময়ে সিনেমাটা বাংলাদেশে মুক্তি পাক। আমার দেশের মানুষও চায়। একই দিনে দুই বাংলা কিংবা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষি দর্শকরা সিনেমাটি দেখতে পাবে। বাংলাদেশের একজন স্টারের সিনেমা কলকাতাতে তাদের বড় একটি ফেস্টিভ্যালে মুক্তি পাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে পাচ্ছে না। তবে ছবিটি দেখার পর দর্শক বলবে, কেন দেখলাম চালবাজ, আবার কেন দেখবো চালবাজ। যেহেতু একটু বিনোদনধর্মী ছবি, আমার মনে হয় না যে, দর্শকদের খারাপ কোনো কারণ থাকবে।
প্রিয়.কম: ছবিটি আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়াতে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। যদিও এ প্রক্রিয়া নিয়ে এক ধরনের অসন্তোষ রয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। আপনি কী মনে করেন, আইনের দিক থেকে কোনো কারণে কিছু বিষয়ে পরিবর্ধন-পরিমার্জন হওয়া দরকার?
শাকিব খান: ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে চাইলে সরকার তো কত কিছুই করতে পারে। আমি তো চাই একই দিনে ছবি মুক্তি পাক। সাফটা চুক্তির আওতায় আমার একটি সিনেমা একই সাথে বাংলাদেশে মুক্তি পাবে। সে জন্য তো আমাদেরই এগিয়ে আসা উচিত। তবে আমার এখনকার সরকার কিন্তু সিনেমাবান্ধব। তারা চায় আরও ভালো ভালো সিনেমা হোক। যারা ভালো কাজ করতেছে, সরকারের উচিত তাদের সে সহযোগিতাটা আরও ভালোভাবে করা। কিছু অসৎ মানুষের কথা না শুনে, যারা ভালো কাজ করতেছে, তাদের প্রতি সহযোগিতার হাতটা আরও বাড়িয়ে দেওয়া।
প্রিয়.কম: ছবিতে আপনার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী। আপনাদের এর আগে ‘নবাব’ ছবিতে দেখা মিলেছে, ব্যবসা সফল হয়েছে ছবিটি। এবার চালবাজির রসায়ন দর্শক কতটা উপভোগ করবে?
শাকিব খান: দ্যাখো, আমি এটুকু বলতে পারি, দর্শক আনন্দিত হবে। অনেক দিনের তো পরিচয়। ও আমার ভালো একটা বন্ধুও। একটা বাণিজ্যিক ও এন্টারটেইনিং মুভি বলতে যা বোঝায়, ঠিক তেমনই চালবাজ। আর শুভশ্রীর সাথে আমার কাজের বোঝাপড়াটা বেশ, যার কারণে পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে সে দিকটা আমাদের আরও বেশি সহযোগিতা করেছে। আমার তো মনে হয়, চালবাজ কিছু কিছু ক্ষেত্রে নবাবকে ছাড়িযে যাবে। দেখা যাক, আর তো বেশি দিন বাকি নেই। দর্শকই সব প্রশ্নের জবাব দিবে।
প্রিয়.কম: কলকাতার জিৎ, দেব কিংবা অন্যান্য তারকার ছবির সাথে টক্কর হয় শাহরুখ ও আমির খানের ছবি। সে বাজারে গিয়ে আপনি নিজের একটি অবস্থান তৈরি করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। সেখানকার ইন্ডাস্ট্রির মানুষজনের সহযোগিতা কেমন পাচ্ছেন?
শাকিব খান: হুমম, ওরা কিন্তু আমাদের চাইতে অনেক বেশি প্রফেশনাল। সেখানে যদি নিজের অবস্থান তৈরি করতে না পারতাম, তাহলে কিন্তু ওরা আমাকে নিয়ে একের পর এক প্রজেক্ট করত না। সেখানে ফিল্মের বাণিজ্যে ভূমিকা রাখতে পারছি বলেই আমাকে সমাদর করা হচ্ছে। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ দিয়েই কাজ করি। কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি এখন কোন ট্রাকে চলছে, সেটাও আমরা অনেকেই জানি। যদি সহযোগিতার কথা বলতে হয়, একটা ইন্ডাস্ট্রি থেকে গিয়ে আরেকটা ইন্ডাস্ট্রিতে এভাবে দাপিয়ে কাজ করা কিন্তু চারটিখানা কথা নয়। ওরা আমার পাশে আছে বিধায়, আমি ভালো ভালো কাজগুলো করতে পারছি।
‘চালবাজ’ ছবির দৃশ্যে শাকিব-শুভশ্রী। ছবি: সংগৃহীত
প্রিয়.কম: সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে, আপনি কলকাতাতে ফ্ল্যাট কিনছেন। সেখানে রেস্তোরাঁ ব্যবসাতেও আগ্রহী আপনি। ওখানে স্থায়ী হওয়ার কোনো প্ল্যান রয়েছে?
শাকিব খান: না, বিষয়টা আসলে তেমন না। কাজের জন্য বছরে এতবার কলকাতা যাওয়া লাগে, সে জন্য সেখানকার একজনকে বলেছিলাম একটি ফ্ল্যাট দেখার জন্য। অথচ খবর হয়ে গেল, আমি সেখানে ফ্ল্যাট কিনছি। তবে সেখানে স্থায়ী হতে হবে কেন, যেখানে বাংলাদেশে থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে মাত্র আধ ঘণ্টা। ঢাকাতে তো আমার অনেক আগ থেকেই রেস্তোরাঁ ব্যবসা রয়েছে। কলকাতাতে যদি সে রকম সুযোগ কিংবা সময় পাওয়া যায়, তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই। তবে সেটি এখনই নয়।
প্রিয়.কম: তবুও কিন্তু পেশাগত জেলাসি (ঈর্ষা) বলে একটা বিষয় থেকে যায়। সে রকম কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে?
শাকিব খান: ওরা কিন্তু শুরু থেকেই আমার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সবার সাথেই কম-বেশি ভালো যোগাযোগ কিংবা খাতির আমার রয়েছে। সেদিক থেকে তেমন কিছু নেই। যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আর কাজের ব্যস্ততা থাকলে ওসব নিয়ে ভাববার সময়টা কই? এ দিকটা আমার কাছে ভালো লাগে। কাজের আলাপ হোক। আসলে পেশাগত জেলাসি কোন ইন্ডাস্ট্রিতে নেই? ওখানে চলে ভালো কাজের জেলাসি। কে কার চাইতে আরও ভালো ভালো কাজ করতে।
প্রিয়.কম: ঢাকা পেরিয়ে কলকাতা। দুটি ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি দুই পরিবেশের সিনেমায় কাজ করছেন। এর বাইরে কোথায় গিয়ে কাজের ইচ্ছা রয়েছে?
শাকিব খান: ইচ্ছা তো রয়েছেই, সময়-সুযোগটাই ফ্যাক্ট। স্বপ্ন দেখলে সেটা কেউ কি ছোট করে দেখে? আমিও তো দেখি। তবে বাস্তবায়ন হওয়ার আগে বলা ঠিক হবে না। কাজ করতে গেলে কত ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়, কথাবার্তা হয়। দেখা যাক, কী হয়। ভালো কিছু হলে সে খবরটা তো আমিই সবার আগে দিব।
প্রিয়.কম: পৃথিবীর অনেক দেশেই তো এমন রয়েছে-শিল্পীরা শিল্পের খাতিরে ভিন্ন দেশ ভিন্ন ভাষার সিনেমাতে নিয়মিত কাজ করেন। আমাদের উপমহাদেশে এদিক থেকে বিষয়টি কম কেন, নাকি শক্তিশালী অভিনেতা কম?
শাকিব খান: একজন শিল্পীর নির্দিষ্ট কোনো দেশ কিংবা ভাষা নেই-আমিও সেটাই বিশ্বাস করি। যেকোনো দেশে কিংবা যেকোনো ভাষার সিনেমাতে সে কাজ করতে পারে। আরেকটা কথা, ভাবনার সঙ্গে কিন্তু বাস্তবতারও মিল থাকতে হবে। প্রত্যেকটা ইন্ডাস্ট্রির আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমাদের এখান থেকে গিয়ে কলকাতাতে একসময় বেশ কয়েকজন নিয়মিত কাজ করেছেন। আর কলকাতার অনেকেই তো নিয়মিত বলিউডে কাজ করছেন। আবার বলিউডের কেউ তো কেউ তো হলিউডে গিয়েও কাজ করছেন। আসলেই শিল্পের চর্চা করাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। ধৈর্য থাকতে হবে। আরেকটা বিষয়, একজন শিল্পীর নিজেকে লালন-পালন করারও বিষয় রয়েছে।
প্রিয়.কম: বাংলাদেশ-ভারত পাশাপাশি বন্ধু রাষ্ট্র। কৃষ্টি, কালচারও অনেকটাই এক। তবে একটা বিষয়, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ভারতবিদ্বেষী দেখা যায়। ভারতেও প্রচুর বাংলাদেশবিদ্বেষী রয়েছে। তবে ভিন্নতাও রয়েছে, শিক্ষিত কিছু মানুষের ক্ষেত্রে। এই যে একটা সংকট এর মূল কারণ কী?
শাকিব খান: আসলে আমার চোখে কিন্তু এখনো এমন কোনো বিষয় লাগেনি। আমার সঙ্গে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেটার আলোকে আমি এ বিষয়ে কথা বরতে পারব, যার কারণে এ বিষয়ে আলাপ করা মুশকিল। কলকাতার মানুষজন কিন্তু আমাকে আলাদা করে দেখে না। তাদের ফিল্ম পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই ভাবে। তাই আমি এখানে সংকটের কোনো কারণ দেখি না। ওভাবে ভাবতেও চাই না।
প্রিয়.কম: দুই বাংলার বাণিজ্যিক বিভিন্ন দিকগুলো নয়, শুধু শিল্পের খাতিরে সবাই কি এক হতে পারি না?
শাকিব খান: যেহেতু দুই বাংলার ভাষা এক, সংস্কৃতিও প্রায় একই, দুই বাংলা মিলে যদি বিগ বাজেটের কোনো কাজ হয়, তাহলে তো আমাদেরই লাভ কিংবা আমাদের দুটি ইন্ডাস্ট্রিরই লাভ। এ দিকটাতে আমাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা রয়েছেন, তারা এ বিষয়টা নিয়ে তাদের কাজ করা উচিত। সেদিক থেকে কিছু মতপার্থক্য রয়েছেই। আর পৃথিবীজুড়েই একটা কালচার রয়েছে, যে যত শক্তিশালী, সে তত নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এটাকে তো অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সেদিকগুলো একটা পাশে রেখে সমবাণিজ্যের বিষয়ে আলাপ হতে পারে।
প্রিয়.কম: আর্ট ফর্মে নারীর অনুপ্রেরণাটা ঠিক কেমন? নারীর উপস্থিতি আপনার আর্ট ওয়ার্কটাকে আলাদা কোনো ফর্ম দেয়?
শাকিব খান: দ্যাখো, বিষয়টা কিন্তু ভাইস-ভার্সা। আর্ট ফর্মে শুধু নারী কেন, অন্য যেকোনো কিছু থেকেই একজন সৃষ্টিশীল মানুষ অনুপ্রেরণা পেতে পারে। ভালো কাজের জন্য একে অপরের সহযোগিতা জরুরি। সেদিক থেকে ভাবতে হবে। পেশাদারত্বের ক্ষেত্রে ওভাবে আলাদা করে নারী-পুরুষের কোনো বিভেদ না করাটাই শ্রেয়। আমিও সেভাবেই দেখি। আরেকটা বিষয়, একজন শিল্পীর জীবন তো বৈচিত্র্যপূর্ণ, যার কারণে সে সবকিছুতেই ভিন্নতা খুঁজবে। এটাই স্বাভাবিক।
প্রিয়.কম: বহু সাফল্যের পর আজও প্রতিদিন নিজেকে কি চ্যালেঞ্জ দেন?
শাকিব খান: যখন কেউ একটা অবস্থান ধরে রেখে কাজ করে, তখন তাকে অনেক কিছুই মেনটেইন করে চলতে হয়। এটা পৃথিবীর প্রত্যেকটা সফল মানুষের ক্ষেত্রেই একই রকম। যদি তাদের জীবনী পড়া হয় কিংবা তাদের জীবন লক্ষ্য করা যায়, কোথাও না কোথাও, সে দিকটা পাওয়া যাবে। আমি ক্যারিয়ারের নানা সময়ের নানা দিক নিয়ে কাজ করেছি, কীভাবে আরও ভালো কিংবা গুণগত মানসম্মত কাজ করা যায়। সব থেকে বড় কথা সময়টাকে ধরতে হবে। তার থেকেও বড় বিষয় হবে, যখন সময়টাতে অতিক্রম করা যাবে। আর তখনই একজন শিল্পীর কাজ বহু বছর সাধারণ মানুষের মনে থেকে যায়।
প্রিয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন