সরকারি সহায়তা পেতে যাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহগুলো। এই সহায়তা প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হবে ৫০ কোটি টাকা। সিনেমা হলে ডিজিটাল প্রজেক্টর মেশিন বসানো, সেন্ট্রাল সার্ভার ও ই-টিকেটিং সিস্টেমের জন্য খরচ করা হবে বরাদ্দকৃত টাকা। ধারণা করা হচ্ছে প্রথম ধাপে ৬০টি হলে দেওয়া যাবে এই সুবিধা।
বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। যে কমিটির সদস্য পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।
বুধবার (১৬ মে) এফডিসিতে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন। গুলজার বলেন, ‘টাকার ওপর নির্ভর করছে কয়টি প্রেক্ষাগৃহে এই সুবিধা দেওয়া যাবে। টাকা বেশি লাগলে কম প্রেক্ষাগৃহে ও টাকা কম লাগলে বেশি প্রেক্ষাগৃহে এই সুবিধা দেওয়া যাবে। মঙ্গলবার (১৫ মে) মন্ত্রণালয়ে আমাদের একটি সভা ছিল। অনেক কথা হয়েছে। আশা করছি আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রেক্ষাগৃহের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।’
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন প্রেক্ষাগৃহে সরকারি প্রজেক্টর মেশিন স্থাপনের জন্য বলে আসছেন। সেই দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন গুলজার।
সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহে মেশিন বসিয়ে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অন্যান্য প্রযোজকদের নাজেহাল করে ফেলছে। মেশিন ভাড়া দিতেই প্রযোজকরা ফতুর হয়ে যাচ্ছেন। একটি সিনেমা বানিয়ে তাদের আর সিনেমা বানানোর ইচ্ছা থাকছে না। সেই সমস্যাগুলোর সমাধান হতে যাচ্ছে। মেশিন তো বসবেই, সেন্ট্রাল সার্ভার ও ই-টিকেটিং সিস্টেমটাও চালু হবে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছি। যারা আমাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেবে, তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু হবে।’
ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু হলে, ঘরে বসেই মোবাইলেই দেখা যাবে টিকিট বিক্রির হিসাব নিকাশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন