কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও অভিনেত্রী তানিয়া হোসেনের বিয়ের গুঞ্জন ওঠেছিল। সেই গুঞ্জনের সত্যতা মিলল বাপ্পা মজুমদারের আজকের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে। অবশ্য এ স্ট্যাটাস দিয়ে বাপ্পা মজুমদার সকল ধোঁয়াশা দূর করে দেবেন বলে ইতোপূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়েছে।
২৪ মে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা বেজে ১০ মিনিটে। তিনি তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মানুষের জীবনে এমন অনেক কিছু হয় যা হওয়ার কথা থাকে না। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জীবনের অংশ মনে করে জীবনের সাথেই রেখে দেওয়া ভালো। আমাকে আমার সকল ভক্তরা আমার কাজ দিয়ে চেনেন, আমি আমার কাজ নিয়েই থাকতে চাই, বাঁচতে চাই সবার মাঝে। কী হবে ব্যক্তিজীবনের গল্প জনে জনে বলে? অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি কখনোই আগ্রহী না যেমন ঠিক, তেমন আমার ব্যক্তিগত জীবনও কারো সাথে খুব একটা শেয়ার করা আমার বৈশিষ্ট না। তবে সময়ের কারণে আজ আপনাদের জানাতে হচ্ছে।
জীবন তার নিজের গতিতে চলে। সময় কারো নিজের ইচ্ছায় চলে না। সময় খুব খেয়ালি। জীবন সময় কখন কাকে কোথায় নিয়ে ফেলে বোঝা মুশকিল। অনেক বছর একসাথে থেকে, থাকার চেষ্টা করে অবশেষে হার মানতে হয়েছে আমার আর চাঁদনীর। আমরা পারিনি আমাদের সংসার নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে। কোনো অভিযোগ কিংবা অসম্মান আমার চাঁদনীর প্রতি নেই এমনকি চাঁদনীর ও আমার প্রতি কোনো অসম্মানবোধ আছে বলে মনে করি না। যা হয়েছে তা ভাগ্যের লিখন মনে করি। গত ৯ অক্টোবর ২০১৭ আমাদের ডিভোর্সের আইনী প্রক্রিয়া শুরু হয় আর শেষ হয় ৯ জানুয়ারি ২০১৮ তে বিবাহের সমাপ্তিতে। আর আমরা আলাদা ছিলাম তাও ১ বছরের একটু বেশি সময় ধরে।
তানিয়া আমার বন্ধু। দারুণ একজন বন্ধু। তানিয়ার সাথে আমার যোগাযোগ এবং ভালোলাগাও। এর সূত্র ধরেই অতিসম্প্রতি আমি আমার ভাবনা তানিয়াকে জানাই, তানিয়াও তার ভাবনা আমাকে জানায়। আমরা আমাদের পরিবারের সান্নিধ্য ছাড়া জীবনে চলতে চাই না। তাই দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে একান্তই পারিবারিকভাবে আমাদের বাগদান হয়। আগেই বলেছি ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আমি বরাবরই নিজের ভেতর রাখতে চাই। যেখানে পরিবার ইনভল্ভড সেখানে আর অপরিষ্কার কোনো চিত্র নেই। বাকিটা পরিবেশ আর পরিস্থিতি। আপনারা প্রার্থনা করবেন। আমার জীবনের সমস্ত ভালোমন্দ অধ্যায়ে আপনারা সাথে ছিলেন, বাকি জীবনেও থাকবেন সেই কামনা করি। ভালো থাকবেন।’
এর আগে তানিয়ার ফেসবুকের একটি পোস্ট এ বিয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত ২০ মে রবিবার রাতে তানিয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ওই পোস্টে দেখা যায় তার অনামিকা আঙুলে একটু হীরের আংটি পরানো, যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন ‘হোল্ডিং ইজ বিলিভিং’।
পরে এ বিষয়ে তানিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে তার আংটি বদল হয়েছে। ১৬ মে রাতে ঘরোয়াভাবে তাঁদের আংটিবদল অনুষ্ঠান হয়।
বাপ্পা মজুমদার কিংবা তানিয়া হোসেন, উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে এটি। এর আগে ২০১০ সালের ৩০ মার্চ তানিয়া হোসেন বিয়ে করেছিলেন চিত্র পরিচালক ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাসকে। এক বছরের মাথায় তারা বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওপর দিকে ২০০৮ সালের ২১ মার্চ বাপ্পা মজুমদার ভালোবেসে বিয়ে করেহিলেন এবং অভিনয়শিল্পী ও নৃত্যশিল্পী চাঁদনীকে। নিজেদের মতের অমিল হওয়ার কারণে নয় বছর পর সংসার জীবনের ইতি টানেন তাঁরা।
প্রিয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন