বাথটাবে দুর্ঘটনা কথা আমরা অহরঅহর শুনে থাকি। বাথটাবে দুর্ঘটনা শিকার হয়ে হাত-পা ভাঙা থেকে অনেক মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে আমাদের দেশে এই ধরনের মৃত্যুর উদাহরণ খুব একটা বেশি নেই। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জাপানের মতো দেশে এই ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
তবে বর্তমানে যেহেতু আমাদের দেশেও বাথটাবের ব্যবহার বাড়ছে, তাই যেকোনো সময়ই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
আসুন জেনে নেই বাথটাবের দুর্ঘটনা এড়াতে যা করবেন।
রাবার ম্যাট
বাথটাবে পা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বাথটাবের মেঝেতে রাবার ম্যাট বা ননস্কিড ম্যাট পেতে রাখুন।
অতিরিক্ত গরম পানি
বাথটাবের পানি যেন সঠিক উষ্ণ হয়। অতিরিক্ত গরম যেন না হয়। অতিরিক্ত গরম পানিতে শরীর হঠাৎ ডুবিয়ে দিলে ছ্যাঁকা লেগে হুড়মুড়িয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
পিছলে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে
বাথটাব কখনই দুই তৃতীয়াংশের বেশি পানি ভর্তি করবেন না। কারণ, নামলে এমনিতেই পানির মাত্রা বেড়ে যাবে। তাতে পিছলে পড়ার ঝুঁকি থাকবে।
গিজারের সুইচ
পানি বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তাই গোসলের পরই সারা শরীর ভালোভাবে তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে নিন। ভেজা শরীরে গিজার বা অন্য কিছুর সুইচে হাত দেবেন না। গিজারের সুইচ বন্ধ করে তবেই পানিতে নামুন।
ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা ইলেকট্রনিক রেজার
বাথটাবের ধারে কাছে হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা ইলেকট্রনিক রেজারের মতো কোনো অ্যাপ্লায়েন্স রাখবেন না। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
শিশুদের ক্ষেত্রে
শিশু বা বাচ্চাদের কখনই বাথটাবে একা ছেড়ে দেবেন না। ওদের পানিতে বসিয়ে দিয়ে অন্য কাজে মন দেবেন না।
বাচ্চাদের জন্য পুরো বাথটাব ব্যবহার না করে, এখন কিছু ব্যারিকেড পাওয়া যায় পানি আটকানোর জন্য। সেগুলো প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন। এতে পানি কম খরচ হবে। বাচ্চা পানিতে ডুবার আশঙ্কা কমে যাবে।
ভারী টাওয়েল
বাথাটাবে শুয়ে থাকুন বা না থাকুন যেদিকে আপনার মাথা থাকবে সেদিকে ভারী টাওয়েল অথবা ফোম জাতীয় কিছু বিছিয়ে রাখুন। যেন হঠাৎ পরে গেলেও মাথায় বেশি আঘাত না লাগে।
টাব পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখুন
যদি বাবল বাথ নেন তাহলে টাবে সাবধানে নড়াচড়া করুন। কারণ, এ সময় টাব বেশি পিচ্ছিল থাকে। গোসল শেষ হলে যত দ্রুত সম্ভব টাব পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখুন। তাহলে পানি থেকে টাব পিচ্ছিল হবে না এবং দুর্ঘটনা কম হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন