রাজকুমার হিরানির ‘সঞ্জু’ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। সঞ্জয় দত্তের এই বায়োপিক যে এভাবে বক্স অফিস কাঁপাবে তা বোধহয় খোদ হিরানিও নাকি ভাবতে পারেননি। এক সপ্তাহের মধ্যেই ছবি ছুঁয়ে ফেলেছে ৩০০ কোটির ম্যাজিক ফিগার। ৫০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখানো শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সঞ্জয় দত্তর ভূমিকায় নিজেকে আমূল বদলে হইচই ফেলেছেন রণবীর কাপুরও। তবে সমালোচকরা বলছেন, সঞ্জয় দত্তর কালো ইমেজকে ধুয়েমুছে পরিস্কার করতে উঠে পড়ে লেগেছেন হিরানি। তাই ছবিতে সঞ্জুবাবাকে নিতান্ত সিধেসাদা ভালমানুষের মুখোশে তুলে ধরেছেন পরিচালক। মুখ খুললেন এ নিয়ে মুন্নাভাই।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেছেন, ‘আমি কী সেটা সকলেই জানেন। মনে হয় না, আমার ইমেজকে ভাল দেখানোর জন্য কেউ ৩০–৪০ কোটি টাকা খরচ করবে। আমি সব সময় সত্যি কথা বলেছি, আর সেই সত্যিটা সারা দেশের মানুষ গ্রহণও করেছেন। ছবির বক্স অফিস আয়ও সেই সত্যির পক্ষেই রায় দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনওই অন্ধকারের মানুষ ছিলাম না। আমার জীবনের কোনও অন্ধকার দিক থাকলে এত মানুষ কি আমাকে ভালবাসতেন? কম বয়সে ছেলেমেয়েরা যেমন ভুল করে, আমিও সেরকমই ভুল করেছিলাম। ভুলের শাস্তি পেয়ে জেলেও গিয়েছিলাম। তার জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই, দুঃখও নেই। কারণ ভুল থেকেই আমি শিক্ষা নিয়েছি।’
এদিকে ‘সঞ্জু’র বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে আরএসএস। তাদের হিন্দি মুখপত্র পাঞ্চজন্য–য় প্রকাশিত ‘দাগি চরিত্র’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি লেখা হয়েছে, গ্যাংস্টার, অপরাধী, সমাজবিরোধীকে মহান করে তোলার চেষ্টা করছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি।
সঞ্জয় দত্তর বোন প্রিয়া দত্ত এর জবাবে বলেছেন, ‘চলচ্চিত্রে কিছু কল্পনার আশ্রয় নিতেই হয়। কিন্তু নিজের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করার চেষ্টা সঞ্জয় কোনওদিনই করেনি। সেটা করার হলে বহুদিন আগেই করতে পারত। পরিচালক ‘সঞ্জু’ ছবিতে সঞ্জয় দত্তর জীবনের যা সত্যি, সেটাকেই পর্দায় এনেছেন। ভুল ও দোষ সমেত মানুষ সঞ্জয়কে তুলে ধরেছেন। আসলে সবকিছুর সমালোচনা করা আরএসএসের একটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন