চাঁদের মাটিতে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। এই সুড়ঙ্গকে একদিনের জন্য মানুষের থাকার উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা। ১৯৭১ সালে চাঁদের মাটিতে পা ফেলার আগে নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন যে, চাঁদের মাটির নীচে বড় সুড়ঙ্গ আছে। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে কয়েকমাইল জুড়ে লাভা জমে ফাঁপা অংশের সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানীদের দাবি, অনেকটা হাওয়াই দ্বীপের কাউমুনা লাভা টিউবের মতো দেখতে এই সুড়ঙ্গগুলি। তবে সে সময় প্রামাণ্য তথ্যের অভাবে বিষয়টা বেশি দূর এগোয়নি। সম্প্রতি জাপানের সেলেনোলজিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপ্লোরার (সেলেন) মারিয়াস পাহাড়ের কাছে এই সুড়ঙ্গটি খুঁজে পেয়েছে। ৩০ মাইল বা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩৩০ ফুট চওড়া এই সুড়ঙ্গটি। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মনে করা হচ্ছে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাড়ে ৩০০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে এটি।
তবে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) এর এক বিজ্ঞানী জুনিচি হারুইয়ামা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা জায়গাটা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো লাভা টিউব কিনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখনও সুড়ঙ্গের ভিতরটা দেখে উঠতে পারিনি। আশা করছি ভিতরে ঢুকতে পারলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।’ পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, যদি সত্যিই এই সুড়ঙ্গ আশ্রয়ের যোগ্য হয়, তা হলে তা মহাকাশচারীদের তাপ ও তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাবে। ওয়াশিংটন পোস্ট।
ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন