বর্তমানে শিক্ষা এবং চাকরি উভয় ক্ষেত্রেই যেই দক্ষতাটি না থাকলেই নয়, তা হলো অফিস সুইট। অফিস সুইট বলতে বোঝানো হচ্ছে, বিভিন্ন অফিস সফটওয়্যার যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট এবং স্লাইড শো প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার। সারা বিশ্বেই অফিস সফটওয়্যার হিসেবে মাইক্রোসফট অফিসই বেশি জনপ্রিয়। ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, স্প্রেডশিটের জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল এবং স্লাইড শো প্রেজেন্টেশনের জন্য পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারের ব্যবহারই বেশি হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই এ সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে পরিচিত হলেও এগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে প্রফেশনাল জ্ঞান আমাদের দেশে খুব কম মানুষেরই রয়েছে। তাই চাকরির বাজারে ভালো করতে হলে এ সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা অত্যন্ত আবশ্যক।
টাইপিং স্পিড : আধুনিক শিক্ষা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভালো টাইপিং স্পিডের প্রয়োজনীয়তা খুবই বেশি। একজন শিক্ষার্থী অথবা চাকরি সন্ধানীর ভালো টাইপিং স্পিড থাকাটা খুবই জরুরি। একজন প্রফেশনাল টাইপিস্ট প্রতি মিনিটে ৬৫ থেকে ৭৫টি শব্দ টাইপ করতে পারেন, যেখানে একজন সাধারণ মানুষ গড়ে ৩৮ থেকে ৪০টি শব্দ টাইপ করেন। টাইপিং স্পিড বাড়ানোর একমাত্র পদ্ধতি হলো বেশি করে অনুশীলন করা।
ই-মেইল এটিকুয়েট এবং ম্যানেজমেন্ট : আধুনিক বিশ্বে পেশাগত যোগাযোগের পুরোটাই হয়ে থাকে ই-মেইলের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ই-মেইলিংয়ের মতো সাধারণ বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই। একটি ই-মেইলে সম্বোধন কেমন হওয়া উচিত, ‘সিসি’ অংশে কাকে রাখা উচিত, ‘বিসিসি’ অংশে কাদের রাখা উচিত, ই-মেইলের সাবজেক্ট কেন পরিবর্তন করা উচিত নয়, ই-মেইলের সিগনেচার অংশটিতে কী কী তথ্য থাকে ইত্যাদি বিষয় আমাদের অনেকেরই চাকরিতে গিয়ে শিখতে হয়, যা জানার কথা ছিল শিক্ষাজীবনেই। ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে গুগল সবচেয়ে জনপ্রিয় হলেও ই-মেইল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হিসেবে প্রায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই ব্যবহার করা হয় মাইক্রোসফট আউটলুক। তাই এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরি।
ডিজিটাল মার্কেটিং : ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। তাই বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য এখন সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্লগ, ইউটিউব অথবা অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এগুলোকে এক কথায় বলা ডিজিটাল মার্কেটিং। আধুনিক যুগে পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ভালো চাকরির জন্য ডিজটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষতা একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনলাইন সার্ভে টুলস : বর্তমানে ভোক্তা বাজার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সার্ভে করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিভিন্ন রিসার্চ করার ক্ষেত্রেও সার্ভে করার প্রয়োজন পড়ে। যেহেতু এখনকার সময়ে বেশিরভাগ মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে, তাই এ সার্ভেগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশই করা হয়ে থাকে অনলাইনে। অনলাইন সার্ভে সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান শিক্ষা এবং চাকরি উভয় ক্ষেত্রেই সাহায্য করবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন