সাইবারযুদ্ধে সবাইকে যোদ্ধা বানাতে চান ইঞ্জিনিয়ার ইসরাত
ইসরাত জাহান রেইনী। একজন নবীন নারী উদ্যেক্তা। কাজ করছেন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে। প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজস্ব সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান আইসিটি প্রটেকশন হাউস। রেইনীর স্বপ্ন বাংলাদেশের প্রযুক্তি নির্ভর মানুষের, বিশেষ করে নারীদের সাইবার নিরাপত্তা দিতে নিরল ভাবে কাজ করবেন।
আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এই সমাজে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় যেভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে করে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় আজ পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট কিংবা অনলাইন সেবা।
তবে এটি বাংলাদেশের জন্য শুভ বার্তা। পাশপাশি হতাশাও রয়েছে। কারণ বর্তমানে সাইবার জগতের সঙ্গে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ অনলাইনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত। কিন্তু তারা জানে না যে সাইবার বা অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছেন তার জন্য নিরাপত্তা বলয়ও প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে সাইবার নিরাপত্তা সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জনের।
আর তাই সাইবার নিরাপত্তা দিতে এই প্রথম কোনো নারী উদ্যোক্তা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছনে দেশব্যাপী। সভা-সেমিনার থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সেমিনার আয়োজন করে সচেতন করে তোলা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির সাথে কাজ করছেন দেশের তরুন দক্ষ-মেধাবী প্রায় ৪০ জন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
আইসিটি প্রটেকশনের ব্যবস্থপনা পরিচালক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ইসরাত জাহান রেইনী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হব। কিন্তু হয়ে গেলাম কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।
তিনি বলেন, আইসিটি সেক্টরে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে, আমাদের দেশে মানুষ বেশির ভাগ প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হয়েছে। নিচ্ছেন অনলাইনের যাবতীয় সেবা। এমনকি সাইবার জগতের সাথে নিজেকে এমনভাবে সম্পৃক্ত করেছেন যা ছাড়া প্রায় অচল অফিসিয়াল কিংবা মানুষের জীবনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড।
ইসরাত জানান বলেন, তবে যে সুবিধা তারা নিচ্ছেন হয়তো তারা জানেনও না তারা কতটা সাইবার বা অনলাইন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবার, টুইটার, ডাটাবেজ, ব্যাংকিং লেনদেন সবকিছুই চলছে অনলাইনে অর্থাৎ সাইবার জগতের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, মাঝে মাঝে এটাও শোনা যায় অনেকেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়। হ্যাক করা হয় তার আইডি। এমনকি হ্যাক হওয়ার কারনে অনেককে পড়তে হয় আইনি জটিলতায়। সেই জটিলতা থেকে বেড়িয়ে আসতে এবং সচেতন হতে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ অত্যন্ত জরুরি।
ইসরাত জাহান আরও বলেন, সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়ার মূল কারণ হলো অসতর্কতা। ফেসবুক, ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলেই সব হয়ে যায় না। প্রযুক্তি ব্যবহারের অভ্যন্তরীন কিছু নিয়ম জানতে হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন