বিশ্বজুড়ে প্রতিবছরই বেশকিছু বিমান দুর্ঘটনার সংবাদ শোনা যায়। এসব দুর্ঘটনার পেছনে থাকে নানা কারণ। তবে বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে এ ধরনের দুর্ঘটনার।
এ বিষয়ে প্রধান পাঁচটি কারণ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লাইচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের পরিচালক সিমন অ্যাশলে বেনেট।
১. চালকের ভুল
বিমান চলাচলের যতই নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পরিণত হচ্ছে, পাইলটদের ভুলও তত বাড়ছে। বিমান দুর্ঘটনার প্রধান কারণ চালকের ভুল। বর্তমানে এসব দুর্ঘটনার ৫০ শতাংশই ঘটে চালকের ভুলে।
বিমানের যন্ত্র থাকে খুবই জটিল ও এর ব্যবস্থাপনাও ঝামেলাপূর্ণ। চলাচলের প্রতিটি পর্যায়ে ইঞ্জিনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকেন পাইলট। সুতরাং ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রচুর। বিমানের জ্বালানি থেকে শুরু করে কম্পিউটার ব্যবস্থাপনা- সবকিছুই দেখতে হয় তাকে। যেকোনো দুর্ঘটনায় পাইলট হচ্ছেন আত্মরক্ষার সর্বশেষ ভরসা।
২ যন্ত্রিক ত্রুটি
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিমান দুর্ঘটনার ২০ শতাংশ ঘটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। উন্নত বিমানেও এই সমস্যা থাকে। অর্ধ-শতক আগের চেয়ে এখনকার ইঞ্জিন অনেক বেশি দক্ষভাবে কাজ করলেও যন্ত্রের কারণে বিপর্যয়কর দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে মাঝেমধ্যে। কখনো কখনো নতুন প্রযুক্তিই নতুন দুর্ঘটনার কারণ হয়।
৩. খারাপ আবহাওয়া
বিমান দুর্ঘটনার ১০ শতাংশের জন্য দায়ী খারাপ আবহাওয়া। এক্ষেত্রে নানা ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সত্ত্বেও ঝড়, তুষার ও কুয়াশার কারণে বিমান দুর্ঘটনার অনেক ঘটনা ঘটে।
৪. অন্তর্ঘাত
বিমান ছিনতাইয়ের মতো অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে ১০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলেও বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা থেমেই নেই। বিভিন্ন স্বাধীনতাকামী, বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
৫. অন্যান্য মানবীয় ত্রুটি
বাকি ১০ শতাংশ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে ট্রাফিক কন্ট্রোলার, লোডার, জ্বালানিদাতা বা মেনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ারের ভুলের মতো মানবীয় ত্রুটিগুলোর কারণে। বিশেষ করে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার কারণে মেনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার বড় ধরনের ভুল করে ফেলতে পারেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন