কোরআন এবং স্টিফেন হকিংয়ের কৃষ্ণগহ্বর তত্ত্ব : কয়েক দশক আগেও বিজ্ঞান ভাবতে পারেনি মহাশূন্যে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর বলে কিছু আছে। স্টিফেন হকিং এবং আরও কয়েকজন বিজ্ঞানী দীর্ঘ গবেষণার পর বলেছেন, মহাকাশে অসংখ্য কালো গর্ত আছে যা আয়তনে এত বিশাল যে, সূর্যের চেয়ে দশগুণ বড় তারকা ওখানে ছুড়ে মারলে মনে হবে কোনো শিশুর মুখে চকলেট পুরে দেয়া হল।
এভাবে অসংখ্য তারকা ব্ল্যাকহোল একসঙ্গে তার মুখে নিয়ে চুষে খেয়ে ফেলতে পারবে। অর্থাৎ তারকার মৃত্যু ঘটে এই ব্ল্যাকহোল বা কালো গুহার মাধ্যমেই। বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে ২০০৮ সালে।
অথচ কোরআন আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগেই বিষয়টি কত চমৎকারভাবে লোড করে রেখেছে দেখুন- ‘আমি শপথ করছি নক্ষত্ররাজির পতনগুহার।’ এরপরই আল্লাহপাক এর গুরুত্ব বোঝাতে এবং মানুষ যেন গবেষণায় আগ্রহী হয় সে জন্য বলেছেন- ‘অবশ্যই এটা একটা বড় শপথ, যদি তোমরা বুঝতে।’
মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব : স্টিফেন হকিং এবং আরও কয়েকজন বিজ্ঞানী গবেষণা করে বলেছেন, ‘মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে সবকিছু একটি বিন্দুতে ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থায় মিশে ছিল। তারপর একটি বিস্ফোরণে সবকিছুর সৃষ্টি হয়।
ঠিক একই কথা বলছে পবিত্র কোরআনের সূরা আম্বিয়ার ৩০ নম্বর আয়াত। আরও বিস্তারিত বলেছে সূরা ফুসসিলাতের ১১ নম্বর আয়াত। ‘আল্লাহ আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন। তা ছিল গ্যাসের মতো। পৃথিবী এবং আকাশকে তিনি বললেন, তোমরা আসো ইচ্ছায় এবং অনিচ্ছায়।’
কোরআন-তত্ত্বের গবেষক স্টিফেন হকিংয়ের ব্যক্তিজীবন এবং তার অদম্য ইচ্ছাও আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা। মাত্র একুশ বছর বয়সে ডাক্তার বলেছিলেন, ‘তুমি আর বাঁচবে না।’ তারপরও মনের জোরে তিনি বেঁচে ছিলেন হুইল চেয়ারে বসে।
হুইল চেয়ারে শুয়ে তিনি চোখ রেখেছেন আকাশের বুকে। পেয়েছেন স্বপ্নজয়ের ঠিকানা। ঠিকমতো নড়তে চড়তেও পারতেন না যিনি, তিনিই হয়েছেন বিংশ শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞানী। হায়! আজ মুসলমানরা সম্পূর্ণ সুস্থ থেকেও মৃতের মতো জীবনযাপন করছেন- তাদের জন্য কি কিছুই শেখার নেই এ মানুষটি থেকে?
গেল ১৪ মার্চ বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের জন্মদিনে পৃথিবীর আলোবাতাস ছেড়ে ওপারে চলে যান স্টিফেন হকিং। তার গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে মুসলমানের ঐশী কোরআনের সত্যতা। তাই বলছি, হে মহাবিজ্ঞানী আল্লাহ! আপনার এ আদম সন্তান মুসলমানকে কোরআন গবেষণায় মনোযোগী করুন।
আল ফাতাহ মামুন : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন