মধ্যাহ্নভোজের পর অস্ট্রেলিয়াকে আরও চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনেই ৮ নেই অসিদের। একেবারে বাংলাদেশি স্পিন বিষে নীল হয়ে গেছে অসিদের ইনিংস। মধ্যাহ্নভোজের পর প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাথু ওয়েডকে এলবিডব্লু করান মিরাজ। এরপর ম্যাক্সওয়েল চেষ্টায় ছিলেন প্রতিরোধ দিতে। তাতেও সফল হতে পারেননি। ঠিকমতো থিতু হওয়ার আগে তাকে স্টাম্পড করান সাকিব আল হাসান। ম্যাক্সওয়েল ফেরেন ২৩ রানে। অসিদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। ক্রিজে আছেন অ্যাস্টন অ্যাগার (২)।
মিরপুর টেস্টে প্রথম দিনের শেষের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অসিদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের ওভার দিয়েই দিনের খেলা শুরু করেন দুই অসি ব্যাটসম্যান ম্যাট রেনশ ও স্টিভেন স্মিথ। ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া অসিদের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান হিসেবেই ধরা হচ্ছিল স্মিথকে। কারণ উপমহাদেশে সাম্প্রতিক রেকর্ডটা যে ভালো তার! অথচ সেই স্মিথকে দলীয় ৩৩ রানে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে সাজঘরে ফেরান তরুণ স্পিনার মিরাজ।
এরপর বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া অসিদের ইনিংস মেরামতের কাজে নেমে পড়েন ওপেনার ম্যাট রেনশ ও হ্যান্ডসকম্ব। পঞ্চম উইকেট জুটিবদ্ধ হয়ে ইনিংসে ফেরাতে থাকেন প্রাণ। জুটিতে আসে ৬৯ রান। ধীরে ধীরে হুমকি হয়ে উঠছিল এই জুটি। আর সেই জুটিকেই ভেঙে দেন তাইজুল ইসলাম। ৩৩. ৩ ওভারে হ্যান্ডসকম্বকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
এর কিছু পর ওপেনার রেনশকেও আর বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি সাকিব আল হাসান। মধ্যাহ্নভোজের শেষ ওভারে তাকে স্লিপে সৌম্য সরকারের তালুবন্দী করান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। র্যানশ বিদায় নেন ৪৫ রানে। প্রথম সেশনে ভালোভাবেই সফল হয়েছে মুশফিক বাহিনী। নিয়েছে ৩ উইকেট।
অবশ্য সফরকারীদের ওপর দিনের শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ। এই জুটি থিতু হওয়ার আগে ১৫তম ওভারে লেগ বিফোরের রিভিউ নিয়েছিলেন সাকিব। মুশফিকের সন্দেহ থাকলেও সাকিবের আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে রিভিউ নিতে বাধ্য হন তিনি। অথচ রিভিউর পর বেঁচে যান হ্যান্ডসকম্ব!
পরে মিরাজের ওভারেও ছিল রিভিউর নাটকীয়তা! মিরাজ আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে আউট দিয়ে দেন আলিম দার। আত্মবিশ্বাসী র্যানশ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল মিস করেছে স্টাম্প।
এর আগে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে হারিয়েছিল ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর চিত্রটাও ছিল একই। মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া। দিনশেষে ১৮ রান তুলতেই সফরকারীরা হারায় ৩ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে ২৬০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করার পর বোলিংয়ে নেমেই অস্ট্রেলিয়ার ওপর চাপ তৈরি করতে থাকেন মুশফিকরা। উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ওয়ার্নার। ১৫ বলে ৮ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
তার আউটের পর দিনের খেলার খুব একটা বাকি ছিল না, তবু নাইট ওয়াচম্যান না নামিয়ে অস্ট্রেলিয়া তিন নম্বরে পাঠায় উসমান খাজাকে। ৭ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক কোনও ম্যাচে নামাটার মুহূর্তটা মোটেও স্মরণীয় হলো না তার। নিজের ভুলে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাত্র ১ রান করে।
শেষ পর্যন্ত নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামেন লিওন। তাকে ঠিকমতো খেলার সুযোগই দিলেন না সাকিব। দুর্দান্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন