অস্ট্রেলিয়া বধে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। আগের ইনিংসের নায়ক সাকিব দ্রুতই ফিরেছেন। বিদায়ের আগে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে লিড দাঁড়িয়েছে ১৮৭ রানের। ব্যাটিংয়ে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম (২৮), সঙ্গী সাব্বির রহমান।
দ্বিতীয় দিন ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করে শেষ করেছিল টাইগাররা। যেখানে ৮৮ রানের লিড পেয়েছিল মুশফিক বাহিনী। দিনের প্রথম সেশনে নাথান লায়নের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। ২২ বলে ব্যক্তিগত ৪ রান করেন তিনি। লায়নের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস। ২ রান করে স্লিপে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারকে ক্যাচ দেন তিনি।
ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৮০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তারা। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই বিদায় নেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে কামিন্সের বলে উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের গ্লাভসবন্দি হন তামিম। আম্পায়ার আউট না দিলেও অস্ট্রেলিয়ার রিভিউয়ে তামিমকে ফিরতে হয়। বিদায়ের আগে ১৫৫ বলে আটটি বাউন্ডারিতে তামিম করেন ৭৮ রান। এদিন ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এরই সঙ্গে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের সমান সর্বোচ্চ ২৪টি হাফসেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন তিনি। ১১২ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে হাফসেঞ্চুরি করেন তামিম। চলতি টেস্টেই ব্যাক টু ব্যাক ফিফটির দেখা পেলেন এ তারকা।
ইনিংসের ৫৬তম ওভারে আবারো বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত হানেন নাথান লায়ন। আগের ইনিংসে ৮৪ রান করা সাকিবকে কামিন্সের হাতে ধরা দিতে বাধ্য করেন। সাজঘরে ফেরার আগে সাকিব করেন মাত্র ৫ রান।
দুই ম্যাচ টেস্টের প্রথমটিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬০ করার পর অস্ট্রেলিয়াকে ২১৭ রানে বেঁধে দিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। যেখানে ৪৩ রানের লিড পায়। পরে টাইগাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪৩ রানে সৌম্য সরকারের উইকেট হারায়। ১৫ রান করে অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে আউট হন এ ওপেনার। তবে ৭০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন আরেক ওপেনার তামিম। তার সঙ্গে শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন তাইজুল।
এর আগে অজিদের স্বল্প রানে আটকে দিতে দারুণ ভূমিকা পালন করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি একাই ৫ উইকেট নেন। নয়টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেওয়া চতুর্থ বোলার হিসেবে রেকর্ড গড়েন। ৩ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। একটি পান তাইজুল। সফরকারী অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে ওপেনার ম্যাট রেনশর ব্যাট থেকে। ৪১ রান করেন টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান অ্যাগার।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে তামিম ও সাকিবের ব্যাটে ২৬০ রান করতে সমর্থ হয়। ৭১ রান করেন তামিম আর ৮৪ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। অজি বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট পান স্পিনার নাথান লায়ন, অ্যাগার এবং পেসার প্যাট কামিন্স।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন