অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ২২১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশে। ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে সফররত অস্ট্রেলিয়া। ৫ রান করে মিরাজের বলে আউট হন রেনশ। আর সাকিবের বলে ১ রান করে আউট হন খাজা। ২ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১০৯ রান। ওয়ার্নার ৭৫ রান ও স্মিথ ২৫ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেন।
তবে এখনো বাংলাদেশের এই মিরপুর টেস্ট জয় সম্ভব বলে মনে করেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে ২টি সহজ সমীকরণ কাজে লাগাতে হবে টাইগার অধিনায়ক মুশফিককে। প্রথমটি হচ্ছে দিনের প্রথম সেশনে কোনো পেসারকে দিয়ে বল করানো যাবে না। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মিরাজ, সাকিব এবং তাইজুল ইসলামের পাশাপশি নাসির ও সাব্বির রহমানকে দিয়ে স্পিনের বিষের জালে অস্ট্রলিয়ান ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করতে হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। আর দিনের শুরুতেই নাইট ওয়াচ ম্যান হিসেবে নামা তাইজুল ইসলামের উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর মাঠে নামে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া ইমরুল কায়েস। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হন তিনি। ব্যক্তিগত ৪ রানে লায়নের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর আবারও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে গেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে। প্যাট কমিন্সের বলটি তামিমের হ্যান্ডগ্লাভসটি সামান্য স্পর্শ করেছিল। আম্পায়ার আলিম দার প্রথমে আউট দেননি। কিছু আলোচনা করে রিভিউ নেন স্টিভেন স্মিথ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি তামিমের গ্লাভসে সামান্য স্পর্শ করে ম্যাথু ওয়েডের গ্লাভসে চলে যায়। ১৫৫ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৭৮ রান করে আউট হলেন দেশসেরা ওপেনার।
তামিমের আউটের কিছুক্ষণ পরই সাজঘরে ফিরে যান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। ব্যক্তিগত ৫ রানে লা্য়নের বলে কমিন্সের হাতে ধরা পরেন তিনি। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যানই বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি ক্রিজে। একে একে সাজঘরে ঠিরে গেছেন সবাই।
এর আগে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ছিল ৮৮ রানের।
তার আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৬০ রানের জবাবে অজিরা ২১৭ রানে অলআউট হলে ৪৩ রানের লিড পায় টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ হন ওপেনার সৌম্য সরকার। মাত্র ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ বামহাতি ওপেনার।
রোববার সফরকারীদের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২৬০ রান করেছিল বাংলাদেশ।
সাকিব ৮৪ এবং তামিম ৭১ রান করেন। এছাড়া বাংলাদেশ দলে আর কোনো উল্লেখযোগ্য ইনিংস নেই।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পেট কামিন্স, নাথান লায়ন ও অ্যাস্টন আগার প্রত্যকেই ৩টি করে এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১টি উইকেট লাভ করেন।
জবাব দিতে নেমে সাকিব ও মিরাজের ঘূর্ণিতে মাত্র ২১৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাট রেনশ ৪৫, পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৩৩, পেট কামিন্স ২৫, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩ এবং অ্যাস্টন আগার ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান ৫টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩টি এবং তাইজুল ইসলাম ১টি উইকেট লাভ করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন