ফিক্সিং কেলেংকারি পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন নয়, এর আগেও অনেকবার ঘটেছে এই ধরনের ঘটনা। পাকিস্তান ক্রিকেটে ফিক্সিং শুরু হয়েছিলো ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের মধ্যে দিয়ে। ফিক্সিংয়ের দায়ে আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বাট এবং কমপক্ষে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন পেসার মোহাম্মদ আমির এবং মোহাম্মদ আসিফ।
এরপর ফিক্সিং কেলেংকারি যেন পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হয়েছে গেছে। ‘ফিক্সিং’ পাকিস্তানিদের কাছে একটি নিয়মিত শব্দ। ফিক্সিংয়ের দায়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধও করেছে পিসিবি।
এবার ফিক্সিং দায়ে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান খালিদ লতিফকে। পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন খালিদ লতিফ। পিএসএসে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠে তার নামে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি। আগামী নভেম্বরে ৩২ বছর বয়স হতে চলেছেন এই ওপেনারের। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মাত্র ১৩টি টি-টোয়েন্টি।
বেশ কয়েকদিন আগে ফিক্সিং দায়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো শারজিল খানকে। পিএসএলে একই দলের হয়ে খেলেছিলেন শারজিল খান ও খালিদ। শারজিলের উপর আনা ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত মাসে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি। নিষিদ্ধের সাথে গুনতে হচ্ছে পাকিস্তানি ১ মিলিয়ন রুপি।
এর আগে বছরের শুরুতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে ফিক্সিংয়ের দায়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং জরিমানা গুনতে হয়েছে পাকিস্তানের পেস বোলার মোহাম্মদ ইরফানকে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোহাম্মদ নাওয়াজকেও। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিলো আরেক পাকিস্তানি উমর আকমালের উপরও।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন