বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ ওমর ফারুখকে প্রধান করে পুনরায় পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার একথা জানানো হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান থাকবেন ক্রীড়া সচিব।
সেক্ষেত্রে মো. আসাদুল ইসলাম মিয়া প্রধান নির্বাচক কমিশনের দায়িত্বে থাকবেন। বাকি চারজন হলেন-মো ইকরামুল হক (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) মো শুকুর আলি (পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, এনএসসি) ব্যারিস্টার ফাহিমুল হক, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন (সিইও, বিসিবি)।
ওইদিন বিসিবির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘কমিশন স্বাধীনভাবেই নির্বাচন পরিচালনা করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন করে এনএসসির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তারা অনুমোদন দিলে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ শুরু করা যাবে।’
উল্লেখ্য, আসছে ১৭ অক্টোবর বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হল।
এর আগে মামলা-মোকদ্দমার ঝামেলা পেরিয়ে গত কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবির এজিএম ও ইজিএম। এরপর কার্যত নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। আর কদিন পরই শেষ হচ্ছে বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এজিএমে গঠনতন্ত্র অনুমোদন পাওয়ার পর সবার নজর ছিল তাই নির্বাচনের দিকেই।
এজিএমের পর কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি এক সভা ডেকে ক্রীড়া সচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল বিসিবি। তবে ক্রীড়া সচিবের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়া নিয়ে এবার দেখা দিয়েছিল আইনি জটিলতা।
ওই সময় এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা ক্রীড়া সচিবকে চেয়েছিলাম। তার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হতে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্ধারণ নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় এবার ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল নির্বাচন আয়োজন নিয়েও। অবশেষে সব জটিলতে কেটেছে বিসিবি নির্বাচনের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন