৩৫৪ রানের টার্গেট দিয়ে খেলা শেষ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। তখন তামিম ছাড়া আর কাকে ভরশা করা যায়। যদিও দলে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান রয়েছে। তবে ওপেনিংয়ে তামিমের ভালো খেলা মানে ব্যাটিং এ কিছুটা অন্যদের মনোবল চাঙ্গা করা।
কিন্তু ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তামিম আজ দলের জন্য তেমন ভালো কিছুই দেখাতে পারলেন না। দলীয় রান যখন ৪৪ তখন ভাঙল ওপেনিং জুটি। তামিম ইকবাল ২৫ বলে দুই চার এবং এক ছক্কায় ২৩ রান করে ডোয়াইন প্রিটোরিসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে গেলেন।
তামিমের বিদায়ের পর তিন নম্বরে নামা লিটন দাসও ১২ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৪ রান করে অ্যানদিলে ফেলুকায়োরের শিকার হয়ে ফিরে গেল সাজ ঘরে। এরপর ৩০ রানের অপরাজিত ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন মুশফিকুর রহিম।
২৮ ওভারে দুই বলে ১৬৪ রানে ইমরুল কায়েস ৭৭ বলে ৬৮ রান করে সাজঘরে চলে গেলেন। ৪র্থ ব্যাটিংএ নামলেন সাকিব আল হাসান। মাঠে নামতে না নামতেই তাহিরের বলে কিপারের হাতে কট তুলে পাঁচ বলে ৫ রান করে ফিরে যান। ৫৮ রানের মুশফিকের সাথে জুটি বাঁধলেন মাহমুদউল্লাহ, ৩১ ওভার দুইবলে দলীয় রান ১৭৬। এরপরে ৬০ রানে মুশফিকের বিদায় ক্যাচআউটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৯ ওভারে টাইগারদের দলীয় রান ২০৫। ব্যাটিং জুটিতে সাব্বির ও মাহমুদউল্লাহ। সাব্বির ১২ ও মাহমুদউল্লাহ ১১ রান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে আগে ব্যাট করে সাড়ে তিন শ রান করা মোটেও অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।
কিন্তু চলতি সফরে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ফর্ম এই টার্গেটকেই কঠিন করে ফেলেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ডি ভিলিয়ার্সের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি আর হাশিম আমলার ব্যাটিং দাপটে ৫ উইকেটে ৩৫৩ রান তুলে প্রোটিয়ারা। রুবেলের ৩ উইকেট আর সাকিবের ২ উইকেটে রানবন্যা আটকানো সম্ভব হয়নি।
ইনিংসের শুরু থেকে সাবলীলভাবেই খেলছিল প্রোটিয়ারা। আরেকটি শতরানের ওপেনিং জুটি গড়ার আগেই আঘাত হানেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের ঘূর্ণিবলে লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আগের ম্যাচে দেড় শতাধিক রান করা কুইন্টন ডি কক (৪৬)রানে ফিরে এসেছিল সাজ ঘরে। ৯০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু টিও এল একই ওভারে। দুর্দান্ত ফ্লাইট ডেলিভারিতে অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিসের স্টাম্প উড়ে গেল। কোনো রান না করেই ফিরতে হলো ডু-প্লেসিসকে।
৯০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ১৩৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ডি ভিলিয়ার্স এবং গত ম্যাচের শতাধীক রানের অধীকারি হাশিম আমলা। ওই মুহূর্তে একটি ব্রেক থ্রু দরকার ছিল। হাশিম আমলাকে (৮৫) মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করে সেই ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন।
কিন্তু কামব্যাক ম্যাচে ঠিকই ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৬৮ বলে ঝড়ের গতিতে সেঞ্চুরির পর রুবেলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১০৪ বলে ১৫ চার ৭ ছক্কায় ১৭৬ রান। এরপর ডুমিনি (৩০) আর প্রিটোরিয়াসকেও (০) শিকারে পরিণত করেন রুবেল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন