ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বড় কলঙ্কের নাম 'ম্যাচ ফিক্সিং'। ক্রিকেটের অনেক রথী-মহারথীই এই কলঙ্কের সাথে নাম যুক্ত করে নিজেকে ডুবিয়েছেন। সাথে ডুবিয়েছেন নিজের দেশ ও ক্রিকেট দলের সম্মানও। আশ্চর্য হলেও যত দিন গেছে এই তালিকায় ক্রিকেটারের সংখ্যা বেড়েছে। সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞার শাস্তিও অনেক ক্রিকেটারকে দমাতে পারেনি এই অপরাধের পথে হাঁটা থেকে। এই তালিকার পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি একাদশ করেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। সেই তালিকাটিই হুবুহু তুলে ধরলো পরিবর্তন।
১. নাসির জামশেদ: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাসিরের ক্যারিয়ার সবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হওয়ায় সব ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকেই তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে।
২. শাহজাইব হাসান: স্পট ফিক্সিং থেকে বাদ যাননি তরুণ এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
৩. সালমান বাট: ২০১৩ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন সালমান। পরে তার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
৪. ওয়াসিম আকরাম: বিশ্ব ক্রিকেটে কিংবদন্তি বোলারদের মধ্যে অন্যতম আকরাম। আকরামের পেস এবং সুইং মুগ্ধ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। পাকিস্তানের আরেক তারকা আব্দুল কাদির একটা সময় বলেছিলেন যে আকরামও ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যদিও এর কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
৫. খালিদ লতিফ: পাকিস্তান সুপার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের নেপথ্যে ভূমিকা থাকার জন্য সম্প্রতি নির্বাসন করা হয়েছে খালিদ লতিফকে।
৬. শার্জিল খান: লতিফের মত শার্জিল খানও পাকিস্তান সুপার লিগে ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত।
৭. মোহম্মদ আমির: ফিক্সিংয়ের দায়ে দীর্ঘ দিন অভিযুক্ত থাকার পর অবশেষে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে কামব্যাক করেন আমির।
৮. সেলিম মালিক: স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য আজীবন ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয় সেলিম মালিককেও।
৯. মোহম্মদ আসিফ: স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে জড়িত থাকার জন্য সাত বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে মোহম্মদ আসিফকে।
১০. দানিশ কানেরিয়া: স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য দানিশকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসন করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
১১. মোহম্মদ নওয়াজ: স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য দু’মাস ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছেন মোহম্মদ নওয়াজ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন