খেলার সাথে জড়িয়ে গেছে অর্থের হিসাব-নিকাশওখেলার সাথে জড়িয়ে গেছে অর্থের হিসাব-নিকাশও
ক্রিকেট খেলেন তারা মনের তাগিদেই। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে খেলাটির সাথে জড়িয়ে গেছে অর্থের হিসাব-নিকাশও। এই মূহুর্তে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের আয় নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে ক্রিকেট মান্থলি।
২০১৭ শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ আয় করবেন ১৪.৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী টাকায় যা দাড়ায় ১২ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ মাসে এক কোটি টাকা! এ বছর ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি আয় করবেন প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ক্ষেত্রে যা হবে ৭ লাখ মার্কিন ডলার। পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ এ বছর আয় করবেন ৩ লাখ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বার্ষিক আয় সব মিলে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার। যাকে স্মিথ কিংবা কোহলির তুলানায় ‘মাত্র’ই বলা চলে।
এই হিসাব শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের, অর্থাৎ বোর্ডের চুক্তি ও ম্যাচ ফি। এছাড়া দেশে ও দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টি লিগ কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটের উপার্জন এর বাইরেই থাকছে। রয়েছে বিজ্ঞাপন, স্পন্সর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দূত হওয়ার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ। তাই সব মিলে ক্রিকেটারদের উপার্জনের পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠতেই পারে।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড আবার তাদের মুনাফার একটা অংশ ভাগ করে দেয় ক্রিকেটারদের মধ্যে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের আয়ের ২৬ শতাংশ বন্টন করে, যার অর্ধেকই পায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা। তাছাড়া আইপিএলের বড় অঙ্কের টাকা তাদের আয় বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। এসব হিসাব ধরলে বিরাট কোহলিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ক্রিকেটার বলা যায়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও তাদের বার্ষিক মুনাফার সামান্য একটি অংশ দেয় খেলোয়াড়দের। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের বোর্ড মুনাফার কোন অংশ নির্দিষ্ট হারে ক্রিকেটারদের দেয় না।
ভারত, অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় আয়ের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। বর্তমান বেতন অনুযায়ি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ গ্রেডের একজন ক্রিকেটার প্রতি বছর পান ৭৪ হাজার ১৪ মার্কিন ডলার, অথচ আয়ারল্যান্ডের একই গ্রেডের খেলোয়াড়ের আয় ৭৫ হাজার ডলার। অবশ্য বেশি ম্যাচ খেলার কারণে সব মিলে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বার্ষিক উপার্জন আইরিশদের চেয়ে অন্তত চারগুণ বেশি হতে পারে।
অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আয়ও কম। আয়ের দিক থেকে তারা জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের চেয়েও পিছিয়ে আছেন। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চার ক্রিকেটারের বার্ষিক বেতন ৬০ হাজার ডলার। যা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন ধাপের চেয়েও কম। এমনকি ম্যাচ ফির ক্ষেত্রেও টেস্টে বাংলাদেশ শুধু এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ের চেয়ে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন