বিসিবির সদ্য সাবেক পরিচালক হানিফ ভু্ইয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদার শ্যালক কি না, সে বিষয়ে ‘আসল সত্য’ জানতে গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে বিসিবি।
মঙ্গলবার বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আসল সত্য জানতে আমরা গোয়েন্দা সংস্থার শরণাপন্ন হয়েছি। তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে। তা দেখে যদি কোনো রকমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাহলে পত্রিকায় আসতে হবে না বা সরকারকে বলতে হবে না, এমনিতেই বিসিবিতে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। ’
সম্প্রতি দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হয় বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক হানিফ ভুইয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদার শ্যালক। হানিফ ভুইয়া নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে গত চার বছর গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ৩১ অক্টোবরের নির্বাচনেও নাজমুল হাসানের প্যানেলে আছেন তিনি।
শুধু হানিফ ভুইয়া নন; আগের মেয়াদে থাকা বিসিবি পরিচালক ও সহ-সভাপতি মাহবুব আনামকে জড়িয়েও শোনা যাচ্ছে বিতর্কিত কিছু তথ্য। নির্বাচনের ঠিক আগে কেন এমন অভিযোগ উঠছে, এমন প্রশ্ন নাজমুলের। দেশের ক্রিকেটকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
হানিফ ভুইয়া
‘আশ্চর্য হচ্ছি এত বছর পরে এই জিনিসটা আসল কেন? গতবারই আসা উচিত ছিল। তথ্য ভুল না ঠিক, সেটা বিচার করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি (হানিফ ভুইয়া) স্টক এক্সচেঞ্জে দুবার গোয়েন্দা সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে পাশ করে এসেছেন। আমাদের বলা হয়েছে ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে কিছু একটা কিন্তু তো থাকতে পারে। আমি বলছি না তার আত্মীয় না। কিন্তু কিছু একটা এর মধ্যে থাকতে পারে।’
মাহবুব আনামের প্রসঙ্গ উঠলে নাজমুল হাসান বলেন, ‘গতকাল আরেকটা খবর দেখলাম মাহবুব আনামকে নিয়ে। আমার আব্বার আব্বারা সব মুসলিম লীগ করতেন, তাদের মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী তো থাকতেই পারে। তারা হয়তো পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন বা মুসলিম লীগের পক্ষে ছিলেন। তাই বলে আমি কি তাদের নাতি হিসেবে আমি রাজাকার বা স্বাধীনতাবিরোধী হয়ে যাব? এটা বললে হবে? এখন আমাদের বের করতে হবে আসল সত্য।’
‘মাহবুবু আনাম সাহেবের ব্যাপারটা শুনে সত্যিই দুঃখ লাগছে। এই কারণে যে এই সময়টাতেই কেন একের পর এক অভিযোগ আসছে? সাবের হোসেন চৌধুরী যখন ছিলেন তার সময়কার বোর্ডে মাহবুব আনাম ছিলেন। এমনকি মোস্তফা কামাল সাহেবের সময়ও ছিলেন। এবার কেন এমন হচ্ছে? সত্যি হলে আমরা তো ব্যবস্থা নিবই। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। এমনও তো হতে পারে কিছু একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে, বোর্ডকে হেয় প্রতিপন্ন করতে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
‘শত্রু পক্ষে’র দিকে ইঙ্গিত দিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘কয়েকমাস ধরে যা হচ্ছে সব কিছু যদি মিলেয়ে দেখেন বোঝা যাচ্ছে আমাদের শত্রু পক্ষ অনেক শক্তিশালী। তারা নীরবে কাজ করে, সামনে এসে নির্বাচন করবে না। তবে সত্যি উদঘাটন হলে ব্যবস্থা নেব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন