শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসর। লিগ পর্ব শেষ। টুর্নামেন্টে আর মাত্র চারটি ম্যাচ বাকি। আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। এই আসরে এখন পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে বিদেশিরা।
কিন্তু বোলিংয়ে আধিপত্য করেছে বাংলাদেশি বোলাররা। লিগ পর্ব শেষে সেরা বোলারদের তালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে আটজনই বাংলাদেশি। ১৯টি উইকেট নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
১৮টি উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন খুলনা টাইটান্সের তরুণ পেসার আবু জায়েদ রাহি। ১৫টি উইকেট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৪টি উইকেট নিয়ে সেরা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার আবু হায়দার রনি। ১৪টি উইকেট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন চিটাগং ভাইকিংসের পেসার তাসকিন আহমেদ। ১৩টি উইকেট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন রংপুর রাইডার্স দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ব্যাটিংয়ে বিদেশিদের দাপট:
সর্বোচ্চ রানের তালিকার শীর্ষ পাঁচে মাত্র একজন বাংলাদেশি। শীর্ষে আছেন রংপুর রাইডার্সের রবি বোপারা। ৯ ম্যাচে দুই হাফসেঞ্চুরিতে তার রান ৩২২। সমান ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের এভিন লুইস তিন হাফসেঞ্চুরিতে ৩২০ রান নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তিন নম্বরে থাকা চিটাগং ভাইকিংসের লুক রনকির রান ২৭৩। চতুর্থ স্থানটা খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর, এখন পর্যন্ত তার রান ২৬৩। সিলেট সিক্সার্সের আন্দ্রে ফ্লেচার ২৬০ রান করে আছেন পঞ্চম স্থানে।
লিগ পর্ব শেষে বোলিংয়ে সেরা দশ:
১. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস)-১৯টি উইকেট
২. আবু জায়েদ রাহি (খুলনা টাইটান্স)-১৮টি উইকেট
৩. মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)-১৫টি উইকেট
৪. আবু হায়দার রনি (ঢাকা ডায়নামাইটস)-১৪টি উইকেট
৫. তাসকিন আহমেদ (চিটাগং ভাইকিংস)-১৪টি উইকেট
৬. মাশরাফি বিন মুর্তজা (রংপুর রাইডার্স)-১৩টি উইকেট
৭. শহীদ আফ্রিদি (ঢাকা ডায়নামাইটস)-১২টি উইকেট
৮. হাসান আলী (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)-১২টি উইকেট
৯. নাসির হোসেন (সিলেট সিক্সার্স)-১২টি উইকেট
১০. শফিউল ইসলাম (খুলনা টাইটান্স)-১২টি উইকেট
২৫ রানে কুমিল্লার জয়
ঢাকা: বিপিএলে ১২ ম্যাচের মাত্র তিনটিতে হেরেছে কুমিল্লা। শেষ ম্যাচেও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন দলটির ক্রিকেটাররা। সিলেট সিক্সার্সকে ২৫ রানে হারিয়ে গ্রুপ পর্বটা নিজেদের করে নিল কুমিল্লা।
শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭০ রান করে কুমিল্লা। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে ১৪৫ রানেই শেষ হয় সিলেটের ইনিংস।
দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় সিলেট। দলের স্কোর তখন মাত্র ৭ রান। এরপর নাসির ও ফ্লেচার ভালো খেললেও খুলনার বোলারদের বিপক্ষে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছিলেন না তাঁরা। দলীয় ৩৭ রানে ১২ বলে ১২ রান করে ফিরে যান নাসির। ১১তম ওভারে ফেরেন ফ্লেচারও। ৩০ বলে মাত্র ২৫ রান করেন এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার।
বাবর আজম ও সাব্বির রহমান চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। সাব্বির ২০ বলে করেন ৩১ রান। ১৯ বলে ২০ রান করেন বাবর। এরপর রস হুইটলি ও সোহেল তানভীররা যাওয়া-আসা শুরু করলে ১৪৫ রানেই শেষ হয় সিলেটের ইনিংস।
কুমিল্লার গ্রায়েম ক্রেমার ১৫ রানে নেন চার উইকেট।
প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ১৭০ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেটের বোলারদের আজ উড়িয়ে দিয়েছেন লিটন দাস, মারলন স্যামুয়েলস, শোয়েব মালিকরা।
কুমিল্লার হয়ে আজ জ্বলে উঠেছিলেন লিটন দাস। ৩৭ রানের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও জস বাটলারকে হারিয়ে বসা কুমিল্লার তাই বড় স্কোর গড়তে সমস্যা হয়নি। লিটন ও স্যামুয়েলস মিলে শাসন করেন সিলেটের বোলারদের। ৪৩ বলে ৬৫ রান করেন লিটন দাস। ৪৩ বলে ৫৫ রান করেন ক্যারিবীয় হার্ডহিটার মারলন স্যামুয়েলস। শেষের দিকে শোয়েব মালিকের ১৮ বলে ২৮ রানের ঝড়ে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন