কালো বোখরায় আবৃত এই ভদ্র মহিলা কে চিনতে পারছেন? আপনার কথা বাদ দিন। আবুধাবির রাস্তায় হঠাৎ এভাবে দেখলে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো নিজেও নিজের স্ত্রীকে প্রথম দেখায় চিনতে পারতেন কিনা সন্দেহ! একই ভাবে রিয়ালের কোস্টারিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস, ফরাসি ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজরাও তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের প্রথম দেখে দ্বন্দ্বে পড়ে যাওয়ার কথা!
.
বিশ্ব ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে খেলতে এসে আসার সময় নিজেদের স্ত্রী-বান্ধবীদেরও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কেউ কেউ।
রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো যেমন নিয়ে এসেছেন স্ত্রী ক্লারিস আলভসেকে। গোলরক্ষক কেইলর নাভাস সঙ্গে এনেছেন তার স্ত্রী আন্দ্রেয়া সালাসকে। ফরাসি ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজের সঙ্গে এসেছেন বান্ধবী আদ্রিয়ানা পোজুয়েকো।
আগামীকাল বুধবারই আমিরাতের ক্লাব আল জাজিরার বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। মার্সেলো-নাভাস-থিওরা হয়তো অনুশীলন নিয়েই ব্যস্ত। তবে তাদের স্ত্রী-বান্ধবীরা সময়টা উপভোগ করছেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেরিয়ে। ইচ্ছে মতো ঘুরে ফিরছেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়।
কোথাও ভেড়াতে গেলে দর্শনীয় স্থানগুলো ঘরে দেখবেন সেটাই স্বাভাবিক। তবে আবুধাবি আসার পর যেটা অস্বাভাবিক তা হলো তাদের পোষাক! পশ্চিমা কালচার মেনে হালকা পোষাকেই অভ্যস্ত তারা।
কোথাও ভেড়াতে গেলে তাদের পোষাকের আকৃতি হয়ে যায় আরও ছোট। সমুদ্র-সৈকতে গেলে তো পোষাক বলতে পরেন শুধুই বিকিনি। সেই তারাই আবুধাবীতে এসে ঘুরে ফিরছেন কালো বোখরায় পা থেকে মাথা পর্যন্ত আবৃত করে।
যে দেশের যে রীতি বলে একটা কথা আছে। মার্সেলো-নাভাস-থিওদের স্ত্রী বান্ধবীরা আবুধাবিতে সেটা মেনে চললেন অক্ষরে অক্ষরে। বোখরা পরে বুঝিয়ে দিলেন মুসলিম অনুশাসন মেনে চলা নারীদের এ পোষাকের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাই আছে তাদের!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন