ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার তো বলেছিলেন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ্য তার দলের আছে। তবে টাইগাররা দুই ম্যাচ জেতায় এবং জিম্বাবুয়ে ও লঙ্কানরা নিজেদের সাথে দুইবারের সাক্ষাতে একবার করে জেতায় ফাইনালের সমীকরণটি হয়ে দাঁড়িয়েছে চমকপ্রদ। শুধু মঙ্গলবার বাংলাদেশের সাথে জিতলেই হবে না জিম্বাবুয়ের, তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার সাথে মাশরাফিদের শেষ ম্যাচের দিকেও। তাই ফাইনালে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা ১২টায় বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ দ্বৈরথে প্রবল প্রতিপক্ষ মাশরাফি-তামিমরাই। টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ হয়ত ভুলেই গেছে আফ্রিকার এই দেশটি। ২০১৩ সালে সর্বশেষ দেশের মাটিতে জয় পেয়েছিল তারা। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে টানা ৯ ম্যাচে হেরেছে তারা। সর্বশেষটি তো এই সিরিজেই, প্রথম ম্যাচে। ১৭০ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৮ উইকেটের হার মেনে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে, মঙ্গলবারের ম্যাচে একইরকম ফলাফল হলে ফাইনালে খেলার আশা অনেকটাই মিইয়ে যাবে তাদের জন্য।
টুর্নামেন্টে একদম খারাপ খেলেনি জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফিরে এসেছিল তারা। কিন্তু শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের কাছে হেরে ফাইনালটা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে লড়াই করেছিল বেশ। তাই তো দলটির উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পিটার মুর এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী। কাজটা সহজ হবে না। প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা তামিম ইকবাল আর মাত্র ৪২ রান দূরে, সনাথ জয়াসুরিয়ার রেকর্ড ভেঙে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া থেকে। আর তিন নম্বরে জায়গা পাকা করা সাকিব আল হাসান দুই ম্যাচেই হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়। সুতরাং, ইনফর্ম বাংলাদেশকে হারাতে জিম্বাবুয়ের যে অসাধারণ কিছুই করতে হবে তা আর বলে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন