লা চলাকালে খেলোয়াড়দের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ নতুন কিছু নয়। ক্রিকেটেও রয়েছে এই কালিমা। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিভিন্ন পদক্ষেপও একেবারে থামাতে পারেনি এই ঘৃণ্য আচরণ। সর্বশেষ এর শিকার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগস্পিনার ইমরান তাহির। তাদের বিপক্ষে চলছে ভারতের ছয় ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দেশের মাটিতে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে পিছিয়ে থাকা প্রোটিয়ারা শনিবার চতুর্থ ওয়ানডে জিতে সিরিজ ড্র করার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন তাহির। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। সিএসএ এবং স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা দল ঘটনাটির তদন্ত করছে।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তাহির ২০১১ সাল থেকে খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। এর মধ্যে এই ৩৮ বছর বয়সী খেলে ফেলেছেন ২০টি টেস্ট, ৮৪ ওয়ানডে ও ৩৬টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। তারপরও নিজ দেশের মাঠেই শিকার হয়েছেন এমন আচরণের।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, তাহির দর্শকসারিতে থাকা ভক্তদের সাথে কথা বলছেন। তাহিরের বলা 'আমারও পরিবার আছে' শুধুমাত্র এই কথাটি বোঝা যায়। কয়েকজন দর্শককে বলতে শোনা যায় তাহির একজন খারাপ খেলোয়াড়। তিনি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। তারা তাহিরের সহায়তায় সেই সমর্থককে শনাক্ত করে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেন।
ঘটনাটির তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে সোমবার সিএসএ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, 'ইমরান তাহির একজন অপরিচিত মানুষের কাছে মৌখিকভাবে এবং বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন।' ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সম্পর্কে অবগত আছে বলে সিএসএ জানিয়েছে, 'তাহির আক্রমণকারী এবং সেখানে উপস্থিত কোন শিশুর সাথে কোনপ্রকার শারীরিক সংঘর্ষে যাননি।'
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী বর্ণবাদী আচরণ একটি অপরাধ। তা প্রমাণিত হলে সমর্থকেরা নিষেধাজ্ঞা ও অপরাধমূলক সাজায় দন্ডিত হতে পারেন।
এর আগেও অনেকবার মাঠে ক্রিকেটাররা বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে আরো একটির সাক্ষী ছিল ভারত। ২০০৮ সালে দলটির অস্ট্রেলিয়া সফরে তাদের স্পিনার হরভজন সিং এবং অজি ব্যাটসম্যান অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস এক বর্ণবাদী বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এটা 'মাঙ্কি-গেট কেলেংকারী' নামে পরিচিত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন