বোনাসের টাকা চেয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে বার্সেলোনা ও নেইমার। তবে আদালতের পাশাপাশি নেইমার বোনাসের বকেয় টাকা আদায়ের জন্য বড় আশা নিয়ে স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন ফিফারও। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কাছে ব্রাজিলিয়ান তারকা আবেদন করেছিলেন বোনাসের বকেয়া টাকা আদায় করে দেওয়ার জন্য। আদালতে মামলা মানেই দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। নেইমার তাই সহায়তা চেয়েছিলেন ফিফার। নেইমার আশা ছিল, ফিফা হয়তো দ্রুতই একটা ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তার সেই আশার গুড়ে বালি! তখন গ্রহণ করলেও নেইমারের সেই আবেদন এবার বাতিল করে দিল ফিফা।
বিশ্ব ফুটবলের মুরুব্বী সংস্থাটি এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নেইমারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা নেবে না। আবেদনটি বাতিল করে দিয়ে ফিফা আসলে পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হারিয়েই দিল নেইমারকে! আবেদন প্রত্যাখ্যাত মানে তো হারই। ফিফা আবেদনটি বাতিল করে দেওয়ায় নেইমারকে এখন শুধু আদালতের উপরই ভরসা রাখতে হবে।
আবেদনটি বাতিল করে দেওয়ার পেছনে ফিফার যুক্তিটাও যুক্তিসংগতই। ফিফার কথা, যে ঘটনা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে, সেই একই ঘটনা নিয়ে আলাদা করে তদন্ত করা এবং ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই!
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করেন নেইমার। নতুন চুক্তিতে বার্সেলোনা শর্ত জুড়ে দিয়েছিল, চুক্তির এক বছর পার না হলে নেইমার দলবদল করতে পারবেন না। কিন্তু সেই সেই শর্ত মানেননি। গত ২০১৭ সালের আগস্টেই বার্সেলোনা ছেড়ে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে পাড়ি জমান নেইমার।
বার্সেলোনা তাই ক্রুদ্ধ হয়ে নেইমারের বাবা নেইমার সান্তোস সিনিয়রকে প্রতিশ্রুত রয়্যালটি বোনাসের ২৬ মিলিয়ন ইউরো দেয়নি। বকেয়া এই বোনাসের টাকা চেয়েই আদালতে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে মামলা করেন নেইমার। পাশাপাশি ফিফার কাছেও নালিশ করেছিলেন।
চুক্তির শর্ত ভঙ্গে অভিযোগ এনে বার্সেলোনাও নেইমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বোনাসের টাকা ফেরত চেয়ে। ২০১৬ সালে চুক্তি নবায়নের সময় সাইনিং মানি হিসেবে নেইমারকে ৮ মিলিয়ন ইউরো বোনাস দিয়েছিল বার্সেলোনা। সেই টাকাই ফেরত চাইছে বার্সেলোনা।
ফিফা সরে দাড়ানোয় নেইমার-বার্সার লড়াইটা এখন শুধুই আইন-আদালতে। সেই লড়াইয়ে কে জেতে, সেটা দেখতে অপেক্ষাই করতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন