গতকাল জিম শেষ করে যখন খেলোয়াড়রা বের হচ্ছিলেন, লিটন দাসের কাছে ছোট্ট করে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কালও কি ওপেনিংয়ে? লিটন মাথা নাড়ালেন দু’বার। হ্যাঁ নাকি না? সেই মাথা নাড়ানোর অর্থ কিছুই বোঝা গেল না। বুঝে নিলাম, তিনি হয়তো উত্তরটা দিতে চাইছেন না। টিম ম্যানেজমেন্টের কৌশল বলে কথা। অবশ্য লিটনের পক্ষে উত্তর দেওয়াও সহজ ছিল না। হয়তো কাল নাগাদ টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি তামিমের সঙ্গে আসলে অপর ওপেনার কে হবেন?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে কম্বিনেশন ভারতের সঙ্গে সেই একই কম্বিনেশন নাও হতে পারে। কারণ ভারতের বোলিং এই মুহূর্তে অনেক বৈচিত্রময়। দু’জন অসাধারণ স্পিনার আছে দলে। একজন লেগ স্পিনার, অপরজন অফ স্পিনার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিমের সঙ্গে লিটনকে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল কারণ, শ্রীলঙ্কা পেস বোলিংয়ের সঙ্গে অফ স্পিন দিয়ে শুরু করে। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য অফ স্পিন একটু কঠিন। যে কারণে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানকে ওয়ান ডাউনের জন্য বসিয়ে ডান হাতি লিটন দাসকে দিয়ে ওপেন করানো হয়। টিম ম্যানেজমেন্টের এই কৌশল দারুণ ফেলও দেয়। তামিম লিটনের ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন দুর্দান্ত সফল হয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেভাবে ভয়ডাহীন ক্রিকেট খেলেছে দল, ভারতের সঙ্গেও তেমনটা খেলতে চায়। তবে আগের ম্যাচের কম্বিনেশন ঠিক থাকবে কিনা সেটা বলা মুশকিল। ভারতের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে এর আগেও ভালো করার দৃষ্টান্ত আছে সৌম্য সরকারের। আবার লিটন ওপেনিংয়ে নেমেও সফল। তামিম- লিটন মিলে প্রথম ৬ ওভারের ফিল্ডিং সুবিধে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পেরেছেন। যেটা প্রথম ম্যাচে সৌম্য পারেননি।
এই মুহূর্তে লিটন দাসের আত্মবিশ্বাসও অনেক উঁচুতে। তাই লিটনকে ওপেনিংয়ে নামানোর যুক্তি জোরালো। ঘরোয়া ক্রিকটে লিটন ওপেনার হিসেবেও সুপরিচিত। মানে লিটন ওপেনার হিসেবে নতুন নন। আবার লিটন ওপেনিংয়ে নামলে যে ভারত অফ স্পিন ও পেস দিয়ে শুরু করবে ব্যাপারটা সেরকম নাও হতে পারে। দেখা যাবে লেগ স্পিনার নিয়ে আসা হয়েছে শুরুতে।
আবার তামিমের সঙ্গে সৌম্য ওপেনিং করলে দেখা যাবে পেস বোলিংয়ের সঙ্গে অফ স্পিনার নিয়ে আসা হয়েছে। যে কারণে নিদ্ধান্তটা নিতে দোটানার মধ্যে রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত হয় সেটাই দেখার বিষয়। তবে যতদূর মনে হচ্ছে, তামিমের সঙ্গে লিটন দাসের ওপেন করার সম্ভাবনাই বেশি।
এম্যাচে একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও কম। অবশ্য তাসকিন আহমেদ ও রাহির মধ্যে যে কেউ থাকতে পারেন। তবে তাসকিনের সম্ভাবনাই বেশি। ভারতের বিপক্ষে তাসকিনের ভালো করার নজির আছে। বড় ম্যাচে অভিজ্ঞতাও তো বড় ব্যাপার। তাসকিন ভালো করতে পারছেন না ঠিক আছে, কিন্তু রাহিও আহামরি কোনো পেসার নন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রতিভা ও যোগ্যতা আছে কীনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন