সেরা দু’জন বোলার দেশে রেখে এসে ভারত। তারপরেও ভারতীয় দলের বোলিং বৈচিত্র খুব একটা কমেনি। যেমন ক্ষুরধার পেস আক্রমণ, তেমন কার্যকরী স্পিন। প্রেমাদাসার পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেটেও ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস বের করে ছাড়ছেন তারা। ভারতের দুটি জয়ের পেছনে বড় অবদান বোলারদেরই।
বিজয় শঙ্কর, পেসার শার্দুল ঠাকুর ও জয়দেব উনাটকাট। এই তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর ও যুজবেন্দ্র চাহেল। এই পাঁচ বোলারে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৩৯ রান। আজকের ম্যাচেও চিন্তা এই পাঁচ তরুণ নিয়ে।
ভারতীয় বৈচিত্রময় বোলিংয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন,‘যেভাবে ওরা বোলিং করছে তাতে ওদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। ওদের পুরো বোলিং ইউনিটই গতি, বৈচিত্র খুব ভালো প্রয়োগ করতে পেরেছে। শুধু পেসাররা নয়, স্পিনাররাও। ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চেহেল প্রায়ই অনেক মন্থর বল করছে। ভালো টার্নও করছে বল। পেসাররাও গতির হেরফের করে খুব ভালো করছে। আমাদের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।’
অধিনায়কের কথায় বোঝা যাচ্ছে, ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে সতর্ক হয়ে খেলবে বাংলাদেশ। সতর্ক থাকার পাশাপাশি মারার বল মারতেও ছাড়বেন না তামিমরা। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫৭টি ডট বল হয়েছে। এ ম্যাচে যাতে সেটা না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকবেন ব্যাটসম্যানরা। প্রথমে ব্যাট করতে নামলে অন্তত ১৮০-১৯০ রান করার টার্গেট থাকবে। ২০০ বা তার উপরে হয়ে গেলে তো কথাই নাই।
প্রথম ম্যাচে বেশি সতর্ক খেলতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে সফল ব্যাটসম্যানরা।প্রথমেব যদি বোলারদের উপর চাড়াও হওয়া যায় তাহলে প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরী হয়। যেটা বড় স্কোরের পথ তৈরী করে দেয়। আজ ভারতের বিপক্ষে এই পরিকল্পনা নিয়েই মঠে নামবে বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাস, চাপমূক্ত ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট, যা বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেছে।
ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে এই বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের ক্রিকেটই খেলতে চান তামিমরা। প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে এসেছিল মাত্র ৪৪ রান। বস্তুত এখানেই বাংলাদেশের বড় স্কোরের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। অথচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম পাওয়ার প্লেলেতে এসেছে ৭৪ রান। মানে ৩০ রান বেশি।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লের সুবিধে নিতে পারেননি তামিম সৌম্যরা। কিন্তু ওই ধরনের ম্যাড়মেড়ে ক্রিকেট আর খেলতে চান না তারা। তামিম নিজেই যে বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ও স্মার্ট ক্রিকেটের কথা বলেছেন তাতে ভারতীয় বৈচিত্রময় বোলিংও খুব একটা পাত্তা পাওয়ার কথা নয়। প্রতম ম্যাচের মতো ঠুকঠাক ব্যাট করার তো সুযোগই নেই।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন