বাংলাদেশের ক্রিকেটের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন ভারতের প্রয়াত ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব জগমোহন ডালমিয়া।কিংবদন্তিতুল্য ভারতীয় ক্রিকেট সংগঠকের ভূমিকা আজও অসীম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশ। ক্রিকেট বিশ্বের সবাই জানে যে, বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তিতে ডালমিয়ার সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল। এ জন্যই ডালমিয়ার সমালোনায় মেতেছে লঙ্কান মিডিয়া!
নিদাহাস ট্রফির সর্বশেষ ম্যাচে পরাজয়ের পর বাংলাদেশি ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরা পর্যন্ত এই মুহূর্তে লঙ্কান মিডিয়ার চক্ষুশূল। বিশেষ করে 'নাগিন নাচ'টা তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এটাকে তারা বাংলাদেশিদের বাজে আচরণ হিসেবে প্রচার করছে। একই প্রচার করছে ভারতের মিডিয়াও। এরই ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ড যা করেছে, সেটাকে বাড়াবাড়ি বললেও ভুল হবে না।
দ্য আইল্যান্ডে প্রকাশিত সংবাদটির বিতর্কিত অংশ।
বাংলাদেশের সমালোচনা করে এক প্রতিবেদনে দ্য আইল্যান্ড লিখেছে, 'ভারতীয় ক্রিকেটের বড় কর্তা, কলকাতার বিত্তশালী ব্যবসায়ী ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তবে তার দু-একটি ভুলও আছে। এর একটি হচ্ছে বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়া। ডালমিয়াকে এখন বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়ার জন্য মরণোত্তর ১০০০ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া উচিত।'
আইসিসির সাবেক সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার অভিজ্ঞ চোখ বুঝতে পেরেছিল, বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর যাবে। যে কারণেই তিনি টাইগারদের টেস্ট স্ট্যাটাসের জন্য অবদান রাখেন। শুধু টেস্ট নয়, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে মর্যাদা এসেছে তার সমর্থনেই। এ কারণেই দ্য আইল্যান্ড মনে করছে, ডালমিয়া সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশ ক্রিকেটবিশ্বে দাঁড়াতেই পারত না! যে কথাটা তারা লিখেনি সেটা হলো, বাংলাদেশ নামটা ক্রিকেট বিশ্বে না থাকলে গত শুক্রবার এমন পরাজয়টাও দেখতে হতো না রানাতুঙ্গা-ডি সিলভা-জয়াসুরিয়াদের উত্তরসূরীদের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন