নিদাহাস ট্রফিতে দুই হাফসেঞ্চুরি করা শিখর ধাওয়ানকে ফেরালো বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে তৃতীয় ওভারে তারা পেয়েছে প্রথম উইকেট। সাকিব আল হাসানের বলে ধাওয়ান ১০ রানে বদলি ফিল্ডার আরিফুল হকের দুর্দান্ত ক্যাচ হন। পরের ওভারে মুশফিকুর রহিমের কাছে উইকেট হারান সুরেশ রায়না। রুবেল হোসেন আউট করেন তাকে।
ব্যাটিংয়ে নেমেছে ভারত। (স্কোর: ভারত- ৩২/২, ওভার: ৩.৩)
এর আগে সাব্বিরের দলে থাকা নিয়েই হয়েছে অনেক আলোচনা-সমালোচনা। অনেক ক্রিকেটবোদ্ধারাই চেয়েছিলেন তাকে বিশ্রাম দিয়ে আরিফুল হককে একাদশে নিতে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছিলেন সাব্বির রহমানের উপরই। আর আস্থার প্রতিদান দিলেন দুই হাত ভরেই। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে এদিন প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন সাব্বিরই। ২২ ম্যাচ পর পেলেন ফিফটি। খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ভর করেই সম্মান রক্ষা করতে পেরেছে টাইগাররা। বাংলাদেশও পায় লড়াইয়ের পুঁজি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৬ রান করে তারা। ফলে নিদাহাস ট্রফির শিরোপার জন্য ভারতের লক্ষ্যটা ১৬৭ রানের।
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ নেমে ২০ ওভারে ১৬৬ রান তুললে ৮ ইউকেট হারিয়ে ফেলে। শ্রীলঙ্কাকে ১৬৭ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগার বাহিনী।
রবিবার সন্ধ্যায় এই ম্যাচে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাই বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে। খেলার শুরুতে ভালোই শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু এরপরই ১১ বলের মধ্যে ফিরেছেন তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান!
চতুর্থ উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেস্টা করেছিলেন সাব্বির–মুশফিক। কিন্তু ১১তম ওভারের প্রথম বলে মুশফিককে তুলে নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় ওয়াশিংটন সুন্দরকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন (১১)। ঠিক এর ৬ বলের মাথায় (৪.২ ওভার) তামিমকে (১৫*) লং অনে তালুবন্দি করেন শার্দুল ঠাকুর।
যুজবেন্দ্র চাহালকে এগিয়ে এসে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে তাকে দারুণ ক্যাচে পরিণত করেন শার্দুল। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে স্কয়ার লেগে শিখর ধাওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য সরকার (১)।
চতুর্থ উইকেটে ৩১ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন সাব্বির–মুশফিক। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলানো দলটাই ফাইনালে মাঠে নামিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আন্তর্জাতিক আসরে ফাইনালে উঠে এ পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগে ঘরের মাঠে চারটি ফাইনালেই হারতে হয়েছে। ঘরের বাইরে সাকিব-তামিমদের এটাই প্রথম ফাইনাল।
এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। কোনো আসরের ফাইনালে দ্বিতীয়বার ভারতের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কি পারবে জয় তুলে নিতে?
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন