দুই বছর আগে অবসরের খুব কাছে গিয়েও গুরুতর অসুস্থ মায়ের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড গঞ্জালো হিগুয়েইন। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হিগুয়েইন একথা স্বীকার করেছেন।
জাতীয় দলের হয়ে ওই সময় দারুন এক কঠিন সময় পার করছিলেন ৩০ বছর বয়সী জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানীর কাছে পরাজয়ের পরে টানা দুই বছর চিলির কাছে কোপা আমেরিকায় পরাজিত হয়ে আর্জেন্টিনা তখন দারুন মানসিক চাপে ছিল। গণমাধ্যমের রোষানলে পড়া হিগুয়েইনের সামনে সমর্থকদের চাপ ও মায়ের অসুস্থতা দারুন চিন্তার বিষয় ছিল।
আর্জেন্টাইন চ্যানেলে হিগুয়েইন বলেছেন, ‘ওই সময়টি আমার জন্য দারুন দু:সময় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তিনি এখন সুস্থ আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা ফাইনালের পরে আমি যখন তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেখেছিলাম তখন নিজেকে আর সংযত করতে পারিনি, অবসরের সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে সাহস দিয়েছেন, আমাকে খেলা চালিয়ে যেতে বলেছেন।’
এ পর্যন্ত ৬৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে হিগুয়েইন গোল করেছেন ৩১টি। কিন্ত গত নয় মাস যাবত আর্জেন্টিনার হয়ে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি তারকা এই ফরোয়ার্ড। যদিও শুক্রবার ম্যানচেস্টারে ইতালির বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রীতি ম্যাচের জন্য তাকে জাতীয় দলের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। কোচ জর্জ সাম্পাওলির বিবেচনায় দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে আসতে পেরে উচ্ছসিত হিগুয়েইন বলেছেন, ‘জীবন শতভাগ ফুটবল নয়। এজন্য আমার পরিবারকে ধন্যবাদ। এখন আমি অনেক বেশী শক্তিশালী। কারন আমি বেশ কিছু কঠিন সময় পার করে আবারো এখানে এসেছি। জাতীয় দলেও আমার সময়টা ভাল কাটেনি। তারপরেও পুনরায় দলে আসতে পেরে আমি খুশী।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কঠিন মুহূর্ত পার করে শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণ হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন