বাংলাদেশের সকল সমস্যার জন্য দায়ী হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত এমন মন্তব্য করে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই সত্যকে উপলব্ধি করতে হবে। এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে বিএনপিকে মাসুল দিতে হবে। ভারতকে চিনতে ব্যর্থ হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।’শুক্রবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জন দল (বিজেডি) আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও জনগণের প্রত্যাশা’ - শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকুক বা মুক্ত হোক, বিএনপিকে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,
‘বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বড় দলের অহঙ্কার ভুলে সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করতে হবে।বিনা চ্যালেঞ্জে সরকারকে ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাদের বুঝতে হবে বেগম জিয়াকে জেলে রেখেই সরকার আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। আর সে জন্যই তারা নতুন নতুন কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ করছে। সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে না পারলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত যেমন খারাপ, তেমনই বিএনপি ও দেশের ভবিষ্যতও সুখকর হবে না।’বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘বেগম জিয়াকে জেলে রাখতেই সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তারা নিন্ম আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করছে, এটি দেশবাসী বুঝে।
সরকারকে মনে রাখতে হবে দেশের জনগণ কাউয়া নয়। দেশের জনগণ সরকারের নাটক ভালো করেই উপলব্ধি করছে।’তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও ক্রমাগত সমস্যা বাড়ছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়ছে। গণতন্ত্র বার বার হোচট খাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই সকলে লাভবান হবে, বা দেশ ও দেশের মানুষ মুক্তি পাবে বিষয়টি এমন নয়। দেশ ও জণগণের মুক্তির জন্য বিএনপি চিন্তা-চেতনার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।’নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বর্তমান সরকার ভণ্ড ও প্রতারক, তারা ভোট ডাকাত। ভোট কেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও তারা ৪০% ভোট পায়, যা হাস্যকর। তাদের কথায় জনগণ বিশ্বাস করে না। তাদেরকে সম্মিলিতভাবে না বলতে হবে।’
তিনি বিএনপি ও ২০ দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে, রাষ্ট্রে স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনাদের কর্মসূচি কি জাতি জানতে চায়। আগামীতে দেশ জাতির সামনে আপনাদের বক্তব্য কি স্পষ্ট করতে হবে। আপনাদের বক্তব্যের সাথে একমত হলেই কেবল জাতীয় ঐক্য সম্ভব। শুধু মুখে মুখে জাতীয় ঐক্যের কথা বললে হবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘৪৭ বছরে গুম, হত্যা-নির্যাতন বেড়েছে কয়েকশ গুণ। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস কমে যাচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এগুলোর পরিবর্তন করতে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, প্রতিষ্ঠিত করতে হবে জনগণের সরকার।’
জনদলের চেয়ারম্যান ডা. এস.এম শাজাহানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ, দলের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম, আবুল হাশেম সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মফিজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ইকবাল হাসান, আনিছুর রহমান টয় চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, মাসুম সরকার, হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন