আলোর পেছনে যেমন কালো, ঠিক একইভাবে খ্যাতির আড়ালেও থাকে কিছু কুখ্যাতি। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনেও রয়েছে ব্যতিক্রমী অধ্যায়। পেশাদার জীবনের বাইরে তাদের অনেকেই চোখ কপালে উঠার মতো কিছু কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যা তাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছে। সেক্ষেত্রে উপমহাদেশে এমন ৫ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে আজ পাঠকের পরিচয় হবে- যারা কিনা নিজের আত্মীয় কিংবা বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন।
শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান): পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি তার কাজিন নাদিয়াকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না। শহীদ আফ্রিদির বাবা তাদের বিয়ে ঠিক করেন। এই সুখী দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
উপুল থারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা): শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা বিয়ে করেছেন নীলঙ্ককে। এই নীলঙ্ক ছিল আরেক লঙ্কান ক্রিকেটারের সাবেক স্ত্রী। তিলকারত্নে দিলশানের সাথে নীলঙ্কের প্রথম বিয়ে হয়। জনশ্রুতি আছে, থারাঙ্গা ও নীলঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক থাকার কারণেই দিলশানের সাথে তার ডিভোর্স হয়।
মুরালি বিজয় (ভারত): ভারতের অপেনার মুরালি বিজয় ও নিকিতা সুখেই সংসার করছেন। তবে এর জন্য আরেকটি সংসার ভেঙেছেন এ দুজন। এটা নিকিতার দ্বিতীয় বিয়ে। এরআগে তার বিয়ে হয় ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিকের সাথে। বিজয়ের সাথে সম্পর্ক আছে জেনেই নিকিতাকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন কার্তিক।
সাঈদ আনোয়ার (পাকিস্তান): শহীদ আফ্রিদির মতো পাকিস্তানের সাবেক অপেনার সাঈদ আনোয়ার তার কাজিন লুবনার সাথে ১৯৯৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পেশায় ডাক্তার লুবনা ও পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারের একটি কন্যা সন্তান ছিলো। বিসবাহ নামের ছোট্ট শিশুটি ২০০১ সালে মারা যায়।
বীরেন্দ্রর শেবাগ (ভারত): ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন বীরেন্দ্রর শেবাগ এক যুগ আগে বিয়ে করেছেন আরতি আহলাওয়াতকে। তাদের দুটি সন্তান আছে। বিয়ের বয়স ১২ বছর হলেও তাদের প্রেমের গল্প ১৫ বছরের। বিয়ের আগে তিন বছর চুটিয়ে প্রেম করেন শেবাগ-আরতি। সাবেক ভারত অপেনারের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন আরতি। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের প্রথম পরিচয়।
সূত্র: ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন