আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য সোমবার কোচ তিতে ব্রাজিলের যে ২৩ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন, এর মধ্য থেকে ভারসাম্যযুক্ত দল বেছে নেয়া খুবই কঠিন। ব্রাজিলের এ দলটি যদি এবার ষষ্ঠবার রাশিয়া থেকে বিশ্বকাপ তুলে আনতে না পারে তাহলে অবাক হতে হবে। তবে অধিনায়ক নেইমারকে নিয়ে কোনো অঙ্ক কষার সময় এখনও আসেনি। কারণ তিনি সেই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। আমার ধারণা, নেইমারকে নক-আউট পর্বে দ্বিতীয় রাউন্ডের আগে নিয়মিত ব্যবহার করবেন না কোচ তিতে। তার আগে গ্রুপের তিনটি ম্যাচে তাকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য খেলিয়ে দেখে নেয়া যেতে পারে।
রাইট ব্যাকে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া ড্যানি অ্যালভেজের বিকল্প এই মুহূর্তে ব্রাজিল দলে নেই। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি’র ড্যানিলো কিংবা সদ্য চোট থেকে সেরে ওঠা আথলেতিকো মাদ্রিদের ফেলিপ লুইসকে রাইট ব্যাক পজিসনে ব্যবহার করবেন কোচ তিতে। গোলে রোমার অ্যালিসন খেলবেনই। দ্বিতীয় গোলরক্ষক ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এডেরসন।
চার ডিফেন্ডার হতে পারেন লেফট ব্যাকে মার্সেলো, দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ইন্তার মিলানের মিরান্দা ও পিএসজি’র থিয়াগো সিলভা এবং রাইট ব্যাকে ড্যানিলো কিংবা ফিলিপ লুইস। মাঝমাঠে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসাবে রিয়ালের কাসেমিরোর সুযোগ পাওয়া উচিত। তাকে লড়তে হবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফার্নান্দিনহো এবং বার্সেলোনার পাওলিনহোর সাথে। দুই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রূপে প্রথম একাদশে থাকা উচিত বার্সেলোনার ফিলিপ কুতিনহো এবং চেলসির উইলিয়ানের।
ফরোয়ার্ডে সুস্থ নেইমার মাঠে ফিরলে আলাদা ব্যাপার। তিনি অধিনায়ক এবং গোটা দলের প্রাণভোমরা। এছাড়া লিভারপুলের দুরন্ত ফর্মে থাকা অ্যাটাকার রবার্তো ফারমিনো এবং ম্যানসিটির গ্যাব্রিয়েল হেসাসকে প্রথম একাদশে রাখা উচিত। রিজার্ভে থাকছেন জুভেন্তাসের ডগলাস কস্তা এবং শাখতের ডোনেস্কের টাইসন।
আশা করা যায়, ব্রাজিল বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের বাধা সহজেই টপকে যাবে। আগামী ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলবে ব্রাজিল। গ্রুপ ‘ই’-তে ব্রাজিলকে বাকি দুটি ম্যাচ খেলতে হবে কোস্টারিকা এবং সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। তিনটি ম্যাচেই জেতা উচিত ব্রাজিলের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন