অবশেষে খুলে দেয়া হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষা মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এ অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে মগবাজার, মৌচাক ও মালিবাগ এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির অবসান হলো।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের জন্য মৌচাক মোড়ে অস্থায়ী একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সময় স্বপ্নের উড়ালসড়ক দেখতে মালিবাগ-মৌচাক অংশে শতশত নারী, পুরুষ ও শিশুর ঢল নেমেছে।
সমন্বিত উড়ালসড়কের মূল নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে আগেই। ধোয়ামোছা, রং, বিদ্যুতের খুঁটি, বাতি লাগানোর কাজও শেষ। উদ্বোধন উপলক্ষে রঙিন সাজে সাজানো হয় পুরো ফ্লাইওভারটি। নানা রংয়ের পতাকা ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন কাপড়ে সাজানো হয়েছে ফ্লাইওভারটি। পুরো ফ্লাইওভার বিভিন্ন রংয়ের লাইটিং করা হয়েছে। শোভা পাচ্ছে রং বেরংয়ের পতাকাও।
চার লেনের ফ্লাইওভারটি ছয়টি মোড় অতিক্রম করেছে। এগুলো হলো- সাতরাস্তা, বিএফডিসি, মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগ মোড়। তিনভাগে বিভক্ত ফ্লাইওভারটির একটি অংশ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত বিস্তৃত। গত বছরের মার্চ মাসে এ অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। আরেক অংশ গেছে মৌচাক থেকে নিউ ইস্কাটন পর্যন্ত। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এই অংশের একদিক খুলে দেয়া হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মোড় থেকে কারওয়ান বাজার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় গত ১৭ মে। আজ খুলে দেয়া হলো- উড়াল সড়কের মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশটি।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প ২০১১ সালে একনেকে চূড়ান্ত হয়। শুরুতে এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যয় বাড়তে বাড়তে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন