স্থানীয় সরকার পল্লী ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান বলেছেন, রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। আগামী বছর থেকে ঢাকায় হাঁটুপানি থাকবে না।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান সাংসদদের প্রশ্নের জবাব দেন।
আর্সেনিক–ঝুঁকিতে ১২ শতাংশ মানুষ
সরকারি দলের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১২ শতাংশ জনগণ আসের্নিক দূষণজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে ‘পানি সরবরাহে আসের্নিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প’ গ্রহণ করে একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় সারা দেশের আর্সেনিক দূষণের বর্তমান পরিস্থিতি জানা যাবে। একই সঙ্গে ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি নিশ্চিত হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মাস্টারপ্ল্যান
সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সি জাইকার সহযোগিতায় ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি প্রণয়নসহ এর সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নগরীকে একটি স্বস্তিদায়ক নগর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বর্জ্য সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত স্থানে কনটেইনার বা ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও কতিপয় অসচেতন নগরবাসী নিজেদের সুবিধামতো স্থানে বর্জ্য ফেলে রাখায় তা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজকে বিঘ্নিত করছে এবং সড়কে জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।
সড়কের ওপর খোলা কনটেইনার রাখার বিষয়টি করপোরেশন নীতিগতভাবে অনুমোদন করে না। মন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৩০টির মতো কনটেইনার রাস্তার ওপর থেকে অপসারণ করে ৫২টি পরিবেশবান্ধব সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এটিএস) নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো ৫০টির মতো কনটেইনার রাস্তার ওপর বাধ্য হয়ে রাখতে হচ্ছে। এসটিএস নির্মাণের জায়গা পাওয়া গেলে এই কনটেইনারগুলো রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
৮৭ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে
সরকারি দলের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, বর্তমানে দেশের ১৩ কোটি ৯২ লাখ (৮৭ শতাংশ) জনগণ নিরাপদ পানির সুবিধা ভোগ করছে। এ ছাড়া ৯৯ শতাংশ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ উন্নত, ২৮ শতাংশ যৌথ ল্যাট্রিন ও ১০ শতাংশ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন