জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো স্বীকৃতি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ ঘিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শাহবাগ এলাকা।এর প্রভাব পড়েছে নগরীর অন্য সড়কগুলোতে। ফলে দেখা দিয়েছে যানজট।

.

শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মৎসভবন মোড় থেকে শাহবাগমুখী সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অন্য সড়কে যান চলাচল করছিল। কিন্তু, বেলা বাড়ার সঙ্গে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের দিকে আসতে শুরু করেন। তখন থেকে একের পর এক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মৎসভবন মোড়ের পর বন্ধ করা হয় কদম ফোয়ারের সামনের সড়ক। এরপর পল্টন মোড়ের সড়ক, শেরাটন হোটেল মোড় থেকে শাহবাগের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া চানখারপুল থেকে শাহবাগ আসার সড়কে যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কাটাবন মোড় এলাকার সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় অত্র এলাকায় দেখা দিয়েছে যানজট।

তবে গুলিস্তান ও মতিঝিলের গাড়িগুলো পল্টন মোড় থেকে সোজা কাকরাইল হয়ে সার্কিট হাউস দিয়ে মগবাজার মোড় এবং বাংলামটর দিয়ে চলাচল করছে।

কাটাবন এলাকায় দেখা যায়, একদল কলেজের শিক্ষার্থী ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সার্জেন্ট সেলিমের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা, এই পাশের রাস্তার সিগনাল ছেড়ে দেন। পরে সেগুলো খুলে দেওয়া হয়।’

কাটাবন এলাকার পথচারী সুমনা জামান রাগান্বিত স্বরে ট্রাফিক সার্জেন্টকে বলছেন, কি কারণে রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে? পুলিশ কোনো উত্তর দিচ্ছেন না।

পরে সুমনা জামান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘পাবলিককে যানজটে ফেলে নাগরিক সমাবেশের কোনো অর্থ আমি দেখি না। এরা আবার বলেন, আমরা জনগণের জন্যই রাজনীতি করি। এই তার নমুনা!’

এদিকে, বকশিবাজার মোড়ের রাস্তার পাশে ব্যারিকেড রাখা আছে। তবে এখনো রাস্তা বন্ধ করা হয়নি। পলাশী মোড়ের রাস্তায় আস্তে আস্তে বাড়ছে যানজট। তবে নীলক্ষেত মোড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

পল্টন এলাকার পুলিশ সার্জেন্ট মনিরুল ও কাটাবন এলাকার পুলিশ সার্জেন্ট সেলিম জানান, শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করলে যানজট হবে সেটাই স্বাভাবিক। এরপর আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি যানবাহন নিয়ন্ত্রণের।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোশলে উদ্দিন আহমেদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সমাবেশস্থলকে কেন্দ্র করে ভারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আশা করি, খুব বেশি যানজট দেখা দেবে না।’

তিনি বলেন, ‘কিছু সড়ক বন্ধ থাকায় হালকা যানজট দেখা দিতে পারে। তবে তা মোকাবেলার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।’