নির্বাচনে অংশ নিতে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর পদত্যাগপত্র করেছেন। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত ভোটে জয়ী হয়ে রংপুর সিটির প্রথম মেয়র হন আওয়ামী লীগের নেতা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।
আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রংপুর সিটি করপোরেশনে এটি হবে দ্বিতীয় নির্বাচন। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে যাচ্ছেন মেয়রপ্রার্থীরা।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে বর্তমান মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মেয়র পদে সরফুদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
সচিব আলমের বিরুদ্ধে রসিক মেয়র ঝন্টুর এন্তার অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে রংপুরের উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম শহীদ খান নিজে এবং তার ভাই-বোন, ভগ্নিপতি, ভাগ্নে, শ্যালকসহ আত্মীয়-স্বজন দিয়ে লুটপাট করছেন।
রংপুরের নবনির্বাচিত মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু সোমবার দুপুরে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সচিবের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত দাবি জানান। তা না হলে আগামী বৃহস্পতিবার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও জনগণকে নিয়ে সভা করে কর্মসূচির হুমকি দেন।
ঝন্টু অভিযোগ করে বলেন, সচিবের ষড়যন্ত্রের কারণে শপথ বিলম্বিত হচ্ছে। শ্যামা সুন্দরী খালের উন্নয়নের জন্য টাকা এবং ফাইল ফিরিয়ে নিয়ে গেছে এলজিইডি সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার পর দেখেছি রংপুরের উন্নয়নের যেসব কাজকর্ম হচ্ছে, তা নিম্নমানের। সেজন্য জনগণের চাওয়ার অনুযায়ী সেগুলো আমি বন্ধ করেছি। এসব কাজ বন্ধ করার পর তারা দেখেছে তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে। এজন্য সচিব তড়িঘড়ি করে টাকা ও ফাইল সরিয়ে নিয়েছে।’
শপথ গ্রহণের আগেই মৌখিক নির্দেশে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন ‘যে চারটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছিল তা ১২ ভাগ লেসে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়। কাজ নিম্নমানের হচ্ছিল। সে কারণে আমি মৌখিক নির্দেশ দিয়েছি। তাছাড়া অফিসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও চাচ্ছিল না এভাবে কাজ হোক।’
মাহিগঞ্জের এনসিটিবির একটি মার্কেট নির্মাণের ব্যাপরে মৌখিক নির্দেশে এক যুবলীগ নেতাকে টেন্ডার ছাড়াই কাজ দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে কাজ দেই না। কোনো যুবলীগ নেতা যদি আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কাজ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন