গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কসমেটিক্স তৈরীর কারখানায় মঙ্গলবার বিকেলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানার ম্যানেজারসহ অন্ততঃ ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে।
এ ঘটনায় একই পরিবারের তিন সদস্য নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা তাৎক্ষনিকভাবে জানিয়েছে।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রেরণ করেছে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কবিরুল আলম ও স্থানীয়রা জানায়, কালিয়াকৈরের জামালপুর এলাকায় এফএস কসমেটিক্স লিমিটেড কারখানায় মেহেদী, সেভিং ফোম, সেভিং ক্রীম, কলপসহ বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স তৈরি করা হয়। এ কারখানায় প্রায় ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উৎপাদন কাজ চলাকালে হঠাৎ বিকট শব্দে কারখানার একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে একতলা ভবনের এ কারখানায় আগুন ধরে যায় এবং কারখানায় থাকা ক্যামিকেলে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তেই আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে আরো কয়েকটি সিলিন্ডারের বিষ্ফোরণ ঘটে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
এতে কারখানার ম্যানেজার জাকির হোসেন (৩৮), শেফালী আক্তার (৩০), নাজনীন (২৬) ও তার স্বামী আব্দুর রহিম (৩২)সহ অন্ততঃ ১১ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়। এসময় কারখানায় আটকা পড়ে কয়েক শ্রমিক দগ্ধ হয়। এলাকাবাসি দগ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রেরণ করতে থাকে। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৬জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
কারখানার শ্রমিক শিল্পী জানায়, এ ঘটনার পর হতে কারখানার শ্রমিক লিটন হোসেন (২৫), তার ভাই সুমন হোসেন (২২) ও বোন নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজমা বেগম জানান, আহতদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তবে এ ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছে কি-না তা এ মুহুর্তে জানা যায়নি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সাইফুল আলম জানান, কারখানায় বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ এ মুহুর্তে নির্ণয় করা যায় নি। শ্রমিকরা এ ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার কথা বললেও এ পর্যন্ত সত্যতা মিলেনি। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন