নারায়ণগঞ্জে হকার বসানো নিয়ে গত মঙ্গলবার সহিংস হামলার ঘটনার দিন যে সমস্ত বৈধ-অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার ও প্রদর্শন হয়েছে তা শনাক্ত করে ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার তার কার্য্যালয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে একথা জানান। তিনি আরো জানান, সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মেয়র আইভী বা সাংসদ শামীম ওসমান সমর্থকদের পক্ষ থেকে কোন মামলা হয়নি। তবে একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন, পলিশ প্রশাসন ও র্যাবের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সহিংস হামলার ঘটনার দিন পুলিশ পক্ষপাত্বি করেছে বলে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ সুপার দাবী করেন, পুলিশ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবেই দায়িত্ব পালন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে।
হকারদের ব্যাপারে পুলিশ সুপার জানান, নারায়ণগঞ্জ নগরীর প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক ব্যতীত অন্যান্য কয়েকটি সড়কে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদরেকে বসতে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গতকাল জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের এক বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ বিকেল পাচঁটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত হকাররা বেচাকেনা করতে পারবে। তবে এ সিদ্ধান্ত সাময়িক সময়ের জন্য। পরবর্তীতে তাদের স্থায়ী পূণর্বাসনের ব্যপারে মেয়র ও সাংসদের সম্মিলিতক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চলমান শীত মৌসুম হকারদের মজুদকৃত পোশাক ও মামালামাল বিক্রি করে তারা যেন পুঁজি তুলে আনতে পারে সেইদিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হকার সংগঠনের নের্তৃবৃন্দও এ সিদ্ধান্ত আপাতত মেনে নিয়েছে। বর্তমানে এই নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
উল্লেখ্য, নগরীরর বঙ্গবন্ধু সড়কসহ সকল সড়ক থেকে গত ২৫ ডিসেম্বর ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে হকাররা ফুটপাতে বসার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এই নিয়ে সিটি মেয়র আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান প্রকাশ্যে মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসলে মঙ্গলবার ত্রিমূখী ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়র আইভী ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সহ আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন