ঢাকার ধামরাই উপজেলায় পুকুরে গোসলের সময় তুলে নিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার বাউখন্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে গভীর রাতে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নামের এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া শাহিনুর ইসলাম (১৭), হাবিবুর রহমান হাবু (১৬), আবদুল হালিম (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৩৫) নামের আরও চারজন এ ঘটনায় জড়িত বলে জানায় ওই স্কুল ছাত্রী।
ওই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে ওই ছাত্রী বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় পাঁচ ব্যক্তি ওই স্কুলছাত্রীকে পুকুর থেকে তুলে নিয়ে মুখ বেঁধে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এর পর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই পাঁচজন। এতে ওই সে রক্তাক্ত অবস্থায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য তারা মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। পরে অবস্থার বেগতিক বুঝতে পেরে ওই ছাত্রীকে পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলেই পালিয়ে যায় তারা।
ওই পাঁচজনকে পালিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ জাগে। তারা বাড়িটিতে গিয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ধামরাইয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ নেই তার সামনে। এ সময় এমন ঘটনার বিচার চায় ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় পাঁটচজনের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম নামের একজনকে বুধবার রাতেই আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন